—প্রতীকী ছবি।
লবণ আর চিনিতে মিশে রয়েছে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র প্লাস্টিক!
ভারতের সব নামী ব্র্যান্ডের লবণ ও চিনির প্যাকেটে বিভিন্ন অবস্থায় থাকা এই প্লাস্টিক-কণার অস্তিত্বের কথা সামনে নিয়ে নিয়ে এল একটি সমীক্ষা। পরিবেশ গবেষণা সংক্রান্ত সংগঠন ‘টক্সিক লিঙ্ক’ পাঁচ ধরনের চিনি ও দশ ধরনের লবণ নিয়ে সমীক্ষা করেছিল। স্থানীয় বাজার ও অনলাইন থেকে এগুলি সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করে দেখা যায়, চিনি ও লবণের প্রতিটি প্যাকেটেই প্লাস্টিক-কণার উপস্থিতি রয়েছে। ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র প্লাস্টিক বিভিন্ন অবস্থায় এতে রয়ে গিয়েছে। এর আকার 0.১ এমএম থেকে ৫ এমএম পর্যন্ত। সমীক্ষায় প্রকাশ, আয়োডিন যুক্ত লবণেই প্লাস্টিক-কণার উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি।
টক্সিক লিঙ্ক-এর ডিরেক্টর রবি আগরওয়াল জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক স্তরে প্লাস্টিক সংক্রান্ত চুক্তি করার সময় প্লাস্টিক-কণার বিষয়টি যাতে মনে রাখা হয়, সে জন্যই এই তথ্যকে গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরতে চাইছেন তাঁরা। সংগঠনের আর এক কর্তা সতীশ সিনহা এই বিষয় নিয়ে গবেষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা নীতি নির্ধারণের উপর জোর দিয়েছেন। তাঁর মতে, প্লাস্টিক-কণার ঝুঁকি এড়াতে ও এর পরিমাণ কম করতে প্রযুক্তিগত দিকটিতে নজর দেওয়া প্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে। তিনি জানান, লবণ ও চিনির প্যাকেটগুলিতে যে পরিমাণপ্লাস্টিক-কণার অস্তিত্ব মিলেছে, তা খুবই চিন্তার বিষয়। এ নিয়ে সামগ্রিক গবেষণার প্রয়োজন এবং মানবদেহে প্লাস্টিক-কণার ক্ষতিকর প্রভাব আটকাতে ভবিষ্যতে কী ধরনের পদক্ষেপ করা যায়, সেই ভাবনা জরুরি হয়ে পড়েছে।
সমীক্ষা জানিয়েছে, লবণের প্যাকেটগুলিতে প্রতিকিলোগ্রামে ৬.৭১ থেকে ৮৯.১৫টি প্লাস্টিকের কণা মিলেছে। এর মধ্যে আয়োডিন যুক্ত লবনে মিলেছে ৮৯.১৫টি প্লাস্টিক-কণা। চিনিতে প্রতি কিলোগ্রামে ১১.৮৫টি থেকে ৬৮.২৫টি প্লাস্টিক-কণা পাওয়া গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্লাস্টিক-কণা এখন বিশ্বের সামনে সঙ্কটের একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, জল, বাতাস ও খাবারের মধ্যে মিশে থাকা প্লাস্টিক-কণা মানবদেহ ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।