হাতেকলমে শিক্ষা ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে শিক্ষালাভের উপরে জোর দিয়েছে। প্রতীকী ছবি।
মুখস্থবিদ্যা নয়, হাতেকলমে শিক্ষা এবং ব্যবহারিক জ্ঞানকে আরও বেশি প্রয়োগের কথাই বলছে নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতি। সেই শিক্ষানীতিকে অনুসরণ করতে গিয়েই সিআইএসসিই বোর্ডের স্কুলগুলি ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে বছরে দশ দিন অথবা ৬০ ঘণ্টা ব্যাগ ছাড়া স্কুলে কাটানোর নির্দেশিকা জারি করল। কী ভাবে ব্যাগ ছাড়া পড়ুয়ারা স্কুলে কাটাবে এবং শিক্ষকদের থেকে জ্ঞান অর্জন করবে, ওই বিজ্ঞপ্তিতে সেই নির্দেশিকা বেরিয়েছে।
যে নির্দেশিকা হাতেকলমে শিক্ষা ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে শিক্ষালাভের উপরে জোর দিয়েছে। কুইজ়, খেলাধুলো এবং বিষয়ভিত্তিক বিতর্ক প্রতিযোগিতার উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, বাগান করা, মাটির জিনিস তৈরি করা, বৈদ্যুতিন মডেল তৈরি করা বা ছবি আঁকার মাধ্যমে কী ভাবে পড়ুয়ারা জ্ঞানের পরিধির বিস্তার ঘটাবে, সে বিষয়ে শিক্ষকদের উদ্যোগী হতে বলা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, ব্যাগ ছাড়া স্কুলের দিনগুলিতেপ্রয়োজনে শিক্ষামূলক ভ্রমণেও জোর দিয়েছে ওই নির্দেশিকা। ব্যাগ ছাড়া স্কুলে আসার দিনে প্রয়োজনে পড়ুয়ারা শিক্ষকদের সহযোগিতায় কোনও বিষয়ের উপর সমীক্ষা করতে পারে। এবং ওই সমীক্ষা সংক্রান্ত ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকারও নিতে পারে।
এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে কলকাতার বেশির ভাগ স্কুলের অধ্যক্ষেরা। মর্ডান হাইস্কুল ফর গার্লসের ডিরেক্টর দেবী কর বলেন, ‘‘এটা খুবই ভাল উদ্যোগ। ব্যাগ ছাড়া দিনগুলিতে কী ভাবে শিক্ষকেরা পড়াবেন, তার একটা রূপরেখা তৈরি করতে হবে। আশা করা যায়, এই ধরনের শিক্ষণ পদ্ধতি পড়ুয়াদের পক্ষে খুবই আনন্দের হবে।’’ ন্যাশনাল ইংলিশ হাইস্কুলের অধ্যক্ষা মৌসুমী সাহার মতে, ‘‘এখন তো গুগল থেকেই সব কিছু জানা যায়। মুখস্থ করারও দরকার পড়ে না। বরং পড়ুয়াদের ব্যবহারিক জ্ঞান আরওবাড়ানো দরকার। সেই কাজে ব্যাগ ছাড়া স্কুলের এই দিনগুলি পড়ুয়াদের জন্য খুবই উপকারী হবে।’’
এমন নির্দেশিকার প্রসঙ্গ শুনে খুশি অনেক অভিভাবকও। কয়েক জন অভিভাবক জানান, ভারী ব্যাগ নিয়ে প্রতি দিন তাদের ছেলেমেয়েরা স্কুলে যায়। বছরের অন্তত দশটা দিন যদি তার থেকে মুক্তি পায় এবংঅন্য ভাবে পড়াশোনা করে,তা হলে পড়ুয়াদের পক্ষে খুবই ভাল হবে।