গত বছর দক্ষিণ কোরিয়ায় বিয়ে করেছিলেন ১ লক্ষ ৯২ হাজার নারী এবং পুরুষ। প্রতীকী ছবি।
দক্ষিণ কোরিয়ার নারী এবং পুরুষদের মধ্যে কমছে বিয়ে করার প্রবণতা। পরিসংখ্যান বলছে, ২০৫০ সালের মধ্যে একলা থাকার এই প্রবণতা ৪০ শতাংশ বেড়ে যাবে। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় উঠে এল এমনই একটি তথ্য। একই সঙ্গে দেশটিতে কমছে জন্মহারও।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর দক্ষিণ কোরিয়ায় বিয়ে করেছিলেন ১ লক্ষ ৯২ হাজার নারী এবং পুরুষ। ২০১২ সালের তুলনায় প্রায় ৪০ শতাংশ কম বিয়ে হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এক দশক আগে কোরিয়াতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন ৩ লক্ষ ২৭ হাজার জন। দক্ষিণ কোরিয়ার মহিলাদের মধ্যে সন্তানধারণের ইচ্ছা কমছে বলে কয়েক দিন আগেই একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছিল। এ বার তার দোসর হল বিয়ে না করার প্রবণতা।
তবে ঠিক কী কারণে দক্ষিণ কোরিয়ার বাসিন্দারা বিয়ে এবং বংশবিস্তারের বিষয়গুলি থেকে ক্রমশ সরে আসছেন, তার কয়েকটি কারণ সমীক্ষায় উঠে এসেছে। আর্থিক অস্বচ্ছলতা এবং চাকরির অনিশ্চয়তা— এই দুই কারণে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখছেন অধিকাংশই। আবার কেউ জানিয়েছেন, মনের মতো সঙ্গী খুঁজে না পাওয়ার জন্যেই বিয়ে করার উৎসাহ হারাচ্ছেন অনেকে।
দক্ষিণ কোরিয়ার জনসংখ্যা বাড়ানোর জন্য এমনিতেই সরকারি তরফে উৎসাহ দেওয়া হয়ে থাকে। তবে সম্প্রতি সন্তান উৎপাদনে অনীহা দেখা দিচ্ছে কোরিয়াবাসীর মধ্যে। দক্ষিণ কোরিয়ার নারীরা কেন মা হতে চাইছেন না, তার আরও একটি কারণ উঠে এসেছে সমীক্ষায়। সন্তান জন্মালে তার দেখাশোনা, পড়াশোনার খরচ দক্ষিণ কোরিয়ায় অনেক বেশি। বেসরকারি স্কুল কিংবা কলেজ হলে সেই খরচ আরও দ্বিগুণ হারে বেড়ে যায়। তা ছাড়া মা হওয়ার পর কর্মক্ষেত্রেও মেয়েদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সব দিক ভাবনাচিন্তা করেই বিয়ে এবং সন্তানধারণের সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসছেন বেশির ভাগ।