খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা মিটিং আছে, আর এ দিকে মাথা যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। বা ধরুন, কোনও দিন হঠাৎ করে দেখলেন খুব শ্বাসকষ্ট হচ্ছে কিংবা নাক দিয়ে রক্ত বেরচ্ছে। কী করবেন? সব সময় হয়তো তখনই ডাক্তারের কাছে যাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। এই পদ্ধতিগুলো প্রয়োগ করুন
গলায় অস্বস্তি: আঙুল দিয়ে কানের পিছনে হালকা করে ঘষুন। এতে কানের পিছনের নার্ভ সক্রিয় হয়। গলায় রিফ্লেক্স তৈরি হয়। যার ফলে গলায় হওয়া অস্বস্তি অনেক সময়ই নিরাময় হয়।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: হার্টরেট নিয়ন্ত্রণ করে ভেগাস নার্ভ। বুড়ো আঙুলে ফু দিলে আঙুলের আশেপাশের স্বাভাবিক বায়ু চলাচল ব্যাহত হয়। দেখা গিয়েছে, এতে ভেগাস নার্ভ সক্রিয় হয়ে ওঠে। ভেগাস নার্স হার্টরেট এবং রক্তচাপ কমায়।
নাক দিয়ে রক্ত: রক্তচাপের হেরফেরের কারণে অনেক সময়ই নাক দিয়ে রক্ত বেরতে দেখা যায়। যদি হাতের কাছে ডাক্তার বা ওষুধ না থাকে তাহলে মাড়িতে চাপ প্রয়োগ করুন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মাড়িতে চাপ প্রয়োগের ফলে নাকের শিরায় রক্ত চলাচল বন্ধ হয়। ফলে রক্তপাতও থামে।
ওষুধ: ওষুধ গিলতে সমস্যা হয়? যদি মাথা উঁচু করে ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে এখনই তা বদলান। কারণ মাথা উঁচু করে কোনও কিছু গিলতে আমাদের অসুবিধা হয়। বরং মাথা সামান্য সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে ওষুধ খান।
মুড: পেনসিল মুড বুস্টার! মুড ভাল করতে এই উপায় চেষ্টা করে দেখতেই পারেন। দাঁতের মাঝে ঠিক পাশের ছবির মতো পেনসিল ধরে রাখুন কিছু ক্ষণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ভাবে পেনসিল মুখের মধ্যে নিলে মুখের স্মাইল মাস্ল অর্থাৎ হাসির পেশি সক্রিয় করে তোলে।
হাতের জড়তা: অনেক ক্ষণ একভাবে থাকলে কাঁধে জড়তা চলে আসে। হাত যেন অনেকটাই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। আসলে কাঁধের নার্ভের উপর চাপ পড়ার কারণেই এটা হয়ে থাকে। এই জড়তা ভাব কাটানোর সহজ পদ্ধতি হল সোজা হয়ে বসে বা দাঁড়িয়ে ঘাড়টা একটু এদিক-ওদিক ঘোরানো।
ফোস্কা: পুড়ে যাওয়া ত্বক দ্রুত স্বাভাবিক করে তুলতে এবং ফোস্কা এড়াতে পোড়া অংশের উপর হালকা চাপ দিন মাঝেমধ্যে। এতে ওই অংশে রক্ত চলাচল বাড়ে। ওই অংশের ত্বকের তাপমাত্রাও স্বাভাবিক থাকে, ফলে ফোস্কা পড়ে না।
মাথা যন্ত্রণা: প্রচণ্ড মাথা যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছেন? ঠাণ্ডা জলে হাত ডুবিয়ে রাখুন। কারণ, হাতে প্রচুর নার্ভ থাকে যা সরাসরি মস্তিষ্কের সঙ্গে যুক্ত। যে মুহূর্তে ঠাণ্ডা জলের সিগন্যাল মস্তিষ্ক পাবে, শরীরের তাপমাত্রা বাড়ানোর জন্য নির্দেশ দেবে সে। যাতে সারা শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে। মাথা যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলবে।
দাঁতের যন্ত্রণা: একই ভাবে বরফের টুকরো বুড়ো আঙুল এবং তর্জনীর মাঝের অংশে রাখলে দাঁতের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মেলে।
শ্বাসকষ্ট: অনেক সময় ডায়াফ্রামের পেশি সঙ্কোচনের ফলে শ্বাসকষ্ট হয়। দু’হাত উপরে তুলে স্ট্রেচিং করুন। ডায়াফ্রামের আয়তন বৃদ্ধি পায় এতে। শ্বাসকষ্ট নিরাময় হয়।