পিঠে ব্যথাকে জব্দ করতে মেনে চলুন কিছু উপায়। ছবি: আইস্টক।
সারাদিন এক ভাবে চেয়ারে বসে থাকা ছাড়া উপায় নেই। হয় চাকা লাগানো আরামদায়ক চেয়ার নয়তো কাঠের। মোট কথা পিঠ টান করে বা ঝুঁকে সারাটা দিন কাজের ফিরিস্তি। আর তার হাত ধরেই পিঠে ব্যথা-বেদনার শুরু।
আসলে সারা দিনের ব্যস্ততায় পিঠ বা মেরুদণ্ডকে সুস্থ রাখার জন্য যে যে ব্যায়াম বা শরীরচর্চা প্রয়োজন সে সবও আমরা করে উঠতে পারি না। ফলত সারা দিন চেয়ারে বসার অভ্যাস ডেকে আনছে নানা ব্যারাম।
পিঠে যে সব পেশি, লিগামেন্ট থাকে সে সবে তো বটেই, সঙ্গে শিড়দাঁড়ার নানা সমস্যা ডেকে আনে এই স্বভাব। অনেকে আবার তার উপর আর্থ্রাইটিসে ভোগেন কারও বা লাম্বার-কক্সিসের সংযোগস্থলে এমনিই নানা অসুবিধা থাকে। এ সব থাকলে দীর্ঘ সময় চেয়ারে বসা আরও মারাত্মক আকার ধারণ করে। এমন স্বভাব থাকলে মেরুদণ্ড ও পিঠ বাঁচাতে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ অবশ্যই করুন। তবে তার সঙ্গে মেনে চলুন কিছু ঘরোয়া উপায়ও।
আরও পড়ুন: পড়া ভুলে যাচ্ছে সন্তান? আপনিও স্মৃতি হারাচ্ছেন প্রায়ই? রইল দাওয়াই
শরীরচর্চা: ব্যায়ামই করতে হবে এমন নয়। তবে একটু সময় বার করে স্ট্রেচিং করুন। অনভ্যস্ত হলে শরীরকে কষ্ট দিয়ে জোর করে কিছু করবেন না। যতটা সয় ততটাই স্ট্রেচ করুন প্রথমে। আস্তে আস্তে তার পরিমাণ বাড়ান। হাত উপরে তোলা, ধীরে ধীরে নামানো। হাঁটু সোজা রেখে দু’হাত না ভেঙে পায়ের বুড়ো আঙুল ছোঁওয়া এমন কিছু সাধারণ মানের স্ট্রেচও এ ক্ষেত্রে খুব উপযোগী।
নিয়ম মানুন: এক ভাবে চেয়ারে বসে থাকবেন না। মাঝে মাঝেই উঠুন। পারলে অফিসের লনে হালকা জগিং করে আসুন। তা একান্তই না পারলে লিফ্ট ছেড়ে সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামা করে আসুন বার কয়েক। বসার সময় পিঠ সোজা রাখুন। ঝুঁকে বা কুঁজো হয়ে বসবেন না। খেয়াল রাখবেন চেয়ারের উচ্চতা যেন এমন হয় যাতে পায়ের সম্পূর্ণ পাতা যেন মাটিতে ঠেকে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টি পড়লেই রেনকোটে আশ্রয়? ত্বকের সংক্রমণ এড়াতে অবশ্যই খেয়াল রাখুন এই সব
কিছু সাধারণ মানের স্ট্রেচও এই ব্যথার ক্ষেত্রে খুব উপযোগী।
সেঁক: বরফ সেঁকে এই ধরনের ব্যথা অনেকটা আয়ত্তে থাকে। দিনে দু’-তিন বার মিনিট দশ-পনেরো আইস প্যাক দিন ব্যথার জায়গায়। আরাম পাবেন।
ঘুম: ঘুমের সময় যেন কিছুতেই ছ’-সাত ঘণ্টার কম না হয়। পাশ ফিরে শুলে দু’পায়ের ফাঁকে বালিশ রাখুন।
জুতো: ব্যথা হলে অনেক সময় জুতো বদলাতে হয়। হিল পরলে বা পায়ে আরামদায়ক নয় এমন কোনও জুতো পরলে আগে তা বাদ দিন। ঠিক কোন ধরনের জুতো এই অসুখের জন্য প্রয়োজনীয় তার পরামর্শ নিন চিকিৎসকের কাছ থেকে।