ছবি : সংগৃহীত।
দীপাবলিতে বন্ধুবান্ধব, পাড়াপড়শি এবং আত্মীয়-স্বজনকে উপহার পাঠানোর চল আছে অবাঙালিদের মধ্যে। সেই সংস্কৃতি উৎসবপ্রিয় বাঙালিদের মধ্যেও ধীরে ধীরে প্রবেশ করছে। কখনও অবাঙালি বসের পাঠানো দীপাবলির মিষ্টির ফিরতি উপহার দেওয়ার জন্য। কখনওবা অবাঙালি প্রতিবেশীদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময়ের জন্য। কখনও বা এমনিই বন্ধুবান্ধবকে প্রীতি উপহার হিসাবে দীপাবলিতে মিষ্টি বা চকোলেট বা ড্রাইফ্রুটস পাঠান অনেকে। আপনি যদি দীপাবলিতে পছন্দের মানুষ বা বন্ধুকে উপহার দিতে চান, তবে কী কী রাখতে পারেন উপহারের তালিকায়? মিষ্টি, চকোলেট বা ড্রাইফ্রুটসের বাইরে রইল কিছু সহজলভ্য উপহারের পরামর্শ।
বাতি
দীপাবলিতে বাড়িকে আলোকিত করেন সকলেই। অনেকে বাতিও জ্বালান। ইদানীং নানা আকারের বাতি পাওয়া যাচ্ছে। কোনওটি দেখতে লাড্ডুর মতো, কোনওটি পদ্ম, গোলাপ কিংবা ডেইজ়ি ফুলের মতো আকৃতির। আবার কাচের গ্লাসে নানা রকম নকশাদার সুগন্ধি বাতিও পাওয়া যায়। আরও অজস্র ধরনের বাতি রয়েছে। খুঁজতে বসলে কোনটা ছে়ড়ে কোনটা নেবেন, ভেবে পাবেন না। সুন্দর দেখতে বাতি ভাল উপহার হতে পারে।
প্রদীপ
দীপের উৎসব। প্রদীপের থেকে ভাল উপহার আর কী হতে পারে! মাটির প্রদীপে এখন নানা রকম নকশা করে বাজারে আনা হচ্ছে। মাটির প্রদীপে মোম ভরেও বিক্রি করা হচ্ছে। আবার নানা মাপের ধাতব বা শৌখিন সেরামিকের প্রদীপও পাওয়া যায়। উপহার হিসাবে এমন প্রদীপও দেওয়া যেতে পারে।
গাছ
ঘর সাজানোর গাছও ভাল উপহার হতে পারে। এতে যেমন সবুজায়নে উৎসাহ দেওয়া হল, তেমনই ঘর সাজানোর জিনিসও হল। তবে যে হেতু সব বাড়িতে সূর্যের আলো সমান ভাবে আসে না, তাই ঘরের ভিতরে বাড়বে, এমন গাছ দেওয়াই ভাল।
হস্তশিল্প
স্থানীয় কোনও হস্তশিল্প উপহার হিসাবে দেওয়া যেতে পারে। আপনার এলাকায় যদি বেত বা চটের কাজ ভাল হয় বা কোনও শিল্প বিখ্যাত হয়, তবে সেই স্থানীয় শিল্পীদের হাতের কাজ উপহার হিসাবে দিতে পারেন।
মূর্তি
দেবদেবীর মূর্তিও দীপাবলির উপহার হতে পারে। যে হেতু দীপাবলিতে ভারতীয়েরা দীপান্বিতা লক্ষ্মীর পুজো করেন, তাই লক্ষ্মী, গণেশ বা যে কোনও ভারতীয় দেবদেবীর সুন্দর মূর্তি উপহার হিসাবে দেওয়া হলে প্রাপক খুশিই হবেন।
মুদ্রা
বাজেট বেশি হলে রৌপ্যমুদ্রা দেওয়া যেতে পারে উপহার হিসাবে। আরও বেশি বাজেট হলে স্বর্ণমুদ্রাও দিতে পারেন। তবে, সবই পকেটের ক্ষমতা অনুসারে।