বসন্তই ঘরে ঘরে ডেকে আনে চিকেন পক্স থেকে শুরু করে জ্বর, কাশি-সর্দির মতো রোগগুলিকে। ছবি: আইস্টক।
কলকাতার আবহাওয়া থেকে ইতি মধ্যেই বিদায় নিয়েছে শীত। শীত ও গ্রীষ্মের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে বসন্ত। ঋতুর এই পরিবর্তন সহজে মানিয়ে নিতে পারে না শরীর। ফলে শিশু থেকে বুড়ো সকলকেই সম্মুখীন হতে হয় অসুখবিসুখের। দিন যত বাড়বে, ততই গরমের প্রকোপে পড়বে সাধারণ মানুষ উপর। আর তার সঙ্গেই তাল মিলিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠবে কিছু ভাইরাস ও ব্যকটেরিয়াও।
বসন্তের বাতাসে ফুলেফেঁপে ওঠে প্রকৃতি। কুঞ্জে কুঞ্জে কোকিলের কুহুতান থেকে শুরু করে ফুরফুরে হাওয়া মনে নিয়ে আসে বসন্তের ছোঁয়া। কিন্তু শারীরিক সুস্থতার কথা মাথায় রেখে চললে, বসন্তই ঘরে ঘরে ডেকে আনে চিকেন পক্স থেকে শুরু করে জ্বর, কাশি-সর্দির মতো রোগগুলিকে।
মূল যে সমস্যার গুলির সম্মুখীন হতে হয় তার মধ্যে অন্যতম চিকেন পক্স। এ সময় বাতাসে বহু পরিমাণে ভেসে বেড়ায় ভেরেসেলা জোস্টার ভাইরাস। যার ফলে সংক্রমণ ঘটতে পারে যে কারও শরীরে। এ ছাড়াও ভাইরাল ফিভার, শ্বাসকষ্ট তো আছেই। শীতের মরসুমে শরীরে জলের পরিমাণ কমে যায়। ক্যালোরি-যুক্ত খাবারের ফলে, কখনও কখনও কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগতে হয়, কখনও আবার ডায়েরিয়া হানা দিতে পারে।
আরও পড়ুন: ভুঁড়ি থেকে ওজন, সব কমবে যদি পাতে থাকে এই ফল!
স্পন্ডিলাইটিস খুব ভোগাচ্ছে? ব্যায়ামে কব্জা করুন অসুখ
দূরে থাকুন সংক্রামক অসুখ থেকে।
মেনে চলুন
আপনার হাতের মুঠোয় আজ টেকনোলজি। সে ক্ষেত্রে নিউজ হোক বা আবহাওয়া সব কিছুর খবরই আপনার কাছে। বাড়ি থেকে বেরনোর আগে আবহাওয়ার পূর্বাভাস একবার দেখে নিন। যদি দেখেন রাতের দিকে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে, তা হলে সঙ্গে একটা গরম পোশাক রাখুন। একগাদা জ্যাকেট কোট চাপিয়ে ঘামলেও কিন্তু শরীর খারাপ হতে পারে। বাড়িতে বা অফিসে কেউ ভাইরাল ফিভার বা সর্দিকাশিতে ভুগছেন? এগুলো সংক্রামক। তাই সম্ভব হলে একটু দূরত্ব বজায় রাখুন। হালকা জ্বর বা গা ব্যথা হলে প্যারাসিটামল খান। এর পরও অসুস্থ থাকলে চিকিত্সকের পরামর্শ নিয়ে নিন। অনেকেই আছেন, যাঁরা শীতে জল খাওয়া কমিয়ে দেন। কম জল খাওয়াটা খারাপ অভ্যাস। গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাই জলের ঘাটতি পুষিয়ে নিন। এ ছাড়াও ঈষদুষ্ণ জলে খুব ভাল করে রোজ স্নান করুন। শরীর সুস্থ রাখার অন্যতম পন্থা মরসুমি ফল এবং সব্জি। পরিমিত ফ্যাট, প্রোটিন, শাক-সব্জি ছাড়াও একটি করে মরসুমি ফলকে খাবার পাতে রাখুন।