ভুঁড়ি কমাতে আস্থা রাখুন কিছু ব্যায়ামে। ছবি: আইস্টক।
শীত মানেই দেদার পার্টি আর পিকনিক। খাওয়াদাওযার অনিয়ম, ডায়েট না মানতে পারার এই ঋতুতে কম সময়ে শরীরকে অনেকটা মেদের বোঝা চাপানো হয়ে যায়। বেড়ে যাওয়া ওজনকে তাই জব্দ করতে হলে শরীরচর্চার শরণ নিতেই হবে।
এমন কিছু ব্যায়াম রয়েছে যা অভ্যাস করতে জিমে যাওয়া প্রয়োজন হয় না। শুধু প্রতি দিনের রুটিন থেকে কিছুটা সময় বার করতে পারলেই হল। দ্রুত মেদ ঝরাতে চাইলে এই জনপ্রিয় ব্যায়ামগুলির উপর আস্থা রাখুন। সঙ্গে বজায় রাখুন লো ক্যালোরি ডায়েট। অনিয়মের জেরে হঠাৎ বেড়ে যাওয়া ওজনকে সহজেই আয়ত্তে আনবে এ সব অভ্যাস। জানেন সে সব কী কী?
হাঁটা: সাধারণ গতির চেয়ে আর একটু দ্রুত লয়ে পা চালিয়ে হাঁটলেই তা ব্যায়াম। গতিবেগ বাড়াতে হবে ধীরে ধীরে। এক সময় তা জগিংয়ে পরিণত করতে পারলে উপকার মিলবে দ্রুত। একেবারে শুরুতে আধ ঘণ্টা হাঁটুন, তার পর ধীরে ধীরে সময়টা বাড়াতে হবে। ঘণ্টাখানেক সময় ধরে এমন গতিতে হাঁটুন যাতে ঘাম হয়। এর জেরে ওজন তো কমবেই, ফুসফুসও শক্তিশালী হবে।
পায়ে দিন ভাল মানের কোনও স্পোর্টস শু বা স্নিকার্স।
আরও পড়ুন: রক্ত দেখলেই ভয়? কী করে দূর করবেন এই সমস্যা?
দৌড়: হাঁটার অভ্যাস খুব ভাল ভাবে রপ্ত হয়ে গেলে ছোট ছোট দূরত্বের মধ্যে দৌড় শুরু করুন। প্রতি ১০০ মিটার দৌড়ে ১০ সেকেণ্ড বিশ্রাম নিন। ফের শুরু করুন দৌড়। কয়েক সেকেণ্ডের বিরামটুকু ধরে টানা পনেরো মিনিট দৌড়োন। তবেন দৌড়ের অভ্যাস না থাকলে পায়ে ব্যথা হতে পারে, তবে অভ্যাস চালিয়ে গেলে পা শক্তিশালী হয়ে উঠবে।
প্লাঙ্ক: শরীরের মেদ কমাতে প্লাঙ্কের জবাব নেই। বিশেষ করে পেটের মেদ ঝরাতে এই কসরতটি অন্যতম সেরা। উপুড় হয়ে শোওয়ার পর হাতের পাতা ও পায়ের আঙুলের উপর ভর দিয়ে গোটা শরীরকে হাওয়ায় ভাসিয়ে দিন। এই সময় পেট ভিতরের দিকে টেনে ধরে রাখতে পারলে আরও বেশি উপকার পাবেন। অনভ্যস্ত শরীর হলে এক এক বারে ১৫ সেকেণ্ড করে ধরে রাখুন প্লাঙ্ক। ১৫ সেকেণ্ড করে করে প্রায় প্রায় ১০ বার করুন। অভ্যস্ত হতে শুরু করলে ধীরে ধীরে প্রতি বারের সময়সীমা বাড়ান।
আরও পড়ুন: ডিম খান এ সব উপায়ে, পুষ্টিগুণ তো মিলবেই, সঙ্গে আটকাবে মেদ
ক্রাঞ্চ: চিত হয়ে শুয়ে হাঁটু জোড়া ভাঁজ করুন এমন ভাবে যাতে পায়ের পাতা মাটিতে ঠেকে থাকে। এ বার হাত জোড়া মাথার পিছনে রাখুন। এর পর পেটের উপরে চাপ দিয়ে মাথাটিকে হাঁটুর দিকে নিয়ে যান। এমন অবস্থায় ৫ অবধি গুনুন । তার পর শরীরকে আগের জায়গায় নিয়ে আসুন। ২০ বার করে ৫ টি সেটে করুন এই ক্রাঞ্চ। ক্রাঞ্চ আপনার কোর মাসলকে দারুণ শক্তিশালী করে তোলে। ফলে কোমর আর পেট হয়ে ওঠে নির্মেদ।
স্কোয়াট: দুটি পায়ের মাঝে মোটামুটি ১০-১২ ইঞ্চি দূরত্ব রেখে দু’হাত মুঠো করুন। এই অবস্থায় হাঁটু ভাঁজ করে ‘দ’ অবস্থায় (হাফ সিটিং পজিশনে) বসে আপ-ডাউন করুন। এতে পায়ের পেশি ও পেটের পেশি মজবুত হয়। প্রতি সেটে নিয়মিত ২০ বার করে করুন। প্রথম প্রথম ৫টা সেট করলেও ধীরে ধীরে তা বাড়িতে ১০টি সেট পর্যন্ত নিয়ে যান। প্রতি দিন মিনিট পাঁচেক স্কোয়াট করলে কোমর, থাই ও পায়ের পেশী শক্তিশালী হয়ে ওঠে। মেদ ঝরে দ্রুত।