ফোনের জায়গা বাড়াবেন কী ভাবে, জেনে নিন সহজ উপায়। ছবি: ফ্রিপিক।
বন্ধুদের সঙ্গে কত দিন পরে ঘুরতে গিয়েছেন। সুন্দর মুহূর্তগুলি যেই না ক্যামেরাবন্দি করতে যাচ্ছেন, অমনি ফোনের পর্দায় ভেসে উঠল, জায়গা একেবারেই খালি নেই। এখন পুরনো ছবি বা ভিডিয়ো না মুছে ফেললে নতুন কিছু রাখাও যাবে না। আপনি হয়তো ভাবছেন কোনটি ছেড়ে কোনটি ডিলিট করবেন। এ দিকে ফোনের ‘ইন্টারনাল স্টোরেজ’ ভর্তি হয়ে গিয়েছে, মেমরি কার্ডও প্রায় ভর্তি। তা হলে উপায়?
কমবেশি প্রায় আমরা সকলেই এই সমস্যায় ভুক্তভোগী। ফোনের মেমরি ভর্তি মানেই যখন-তখন ফোন হ্যাং করে যাবে। গতি তো কমবেই। সেই সমস্যা দূর করতে এখন মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি বেশি স্টোরেজের স্মার্টফোন বানাচ্ছে। কিন্তু তাতেও সমস্যা মিটছে না। কিন্তু এমন হচ্ছে তার কিছু কারণ আছে। সেগুলি জানলেই ফোনের গতিও বাড়াতে পারবেন আর পুরনো ছবি বা ভিডিয়ো অথবা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য না মুছেই ফোনের জায়গাও বাড়াতে পারবেন।
কোন কোন উপায়ে জায়গা বাড়বে ফোনে?
১) ফোনে ইন্টারনেট সবসময়েই চালু থাকে আমাদের। তা ছাড়া বেশ কিছু অ্যাপ ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডেও চলতে থাকে। এতে অনেকটা জায়গা নষ্ট হয়। পাশাপাশি ফোনের মেমরি ক্যাশে ভরে যায়। তাই মাঝেমধ্যে ফোনের ক্যাশে মেমরি ক্লিয়ার করলে এই ধরনের সমস্যা হয় না।
২) মোবাইলে অযথা কিছু বড় বড় ফাইল ডাউনলোড হয়ে পড়ে থাকে। এতে অনেকটা স্টোরেজ নষ্ট হয়ে যায়। তাই দেখে নিন, আপনার মোবাইলে কী কী বড় বড় ফাইল রয়েছে। যেগুলি আপনার কাজের নয়, সেগুলি ফোন থেকে মুছে দিন।
৩) ফোনের বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করার জন্যও র্যামের মেমরি নষ্ট হয়। এমন কিছু অ্যাপ আমরা ফোনে ইনস্টল করি যা হয়তো সবসময়ে ব্যবহারও হয় না। আবার কিছু অ্যাপ এমনিই পড়ে থাকে, আপনি সেগুলি খুলেও দেখেন না। তাই অপ্রয়োজনীয় যত অ্যাপ রয়েছে তা মুছে দিন। এতে ফোনের জায়গা অনেকটাই বাড়বে।
৪) আমাদের মোবাইলে অনেকটা জায়গা নিয়ে নেয় ছবি ও ভিডিয়ো। হোয়াট্সঅ্যাপ থেকে অথবা সমাজমাধ্যম থেকে অনেক অপ্রয়োজনীয় ছবি বা ভিডিয়ো ফোনে ডাউনলোড হয়ে যায়। তাই সবচেয়ে আগে ফোনের সেটিংসে গিয়ে ‘অটো-ডাউনলোড’ অপশন বন্ধ করুন। তার পর আপনার ব্যক্তিগত ছবি বা ভিডিয়োগুলি বাদ দিয়ে, অপ্রয়োজনীয় ছবি ও ভিডিয়ো মুছে দিন। যদি সেগুলিও ডিলিট করতে না চান, তা হলে অন্য কোনও ডিভাইসে যেমন ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে স্টোর করে রাখতে পারেন।
৫) যদি ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা হার্ডডিস্কও ভরে যায়, তবে বিকল্প হিসেবে বেছে নিতে পারেন ক্লাউড। গুগল থেকে শুরু করে সমস্ত মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থারই নিজস্ব ক্লাউড স্টোরেজ রয়েছে। সেখানেই প্রয়োজনীয় ডেটা স্টোর করে রাখতে পারেন। তবে ক্লাউড স্পেসও অফুরন্ত নয়। সেটা শেষ হয়ে গেলে মূল্য দিয়ে বাড়তি স্পেস কিনতে হবে। তাই খেয়াল রাখুন একই ছবি বার বার সেভ হচ্ছে কি না। বাড়তি ছবি সঙ্গে সঙ্গে ডিলিট করে ফেলার অভ্যাস তৈরি করুন।
৬) অ্যান্ড্রয়েড ফোনে স্মার্ট ক্লিনারের অ্যাপ গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া যায়। একটি নামিয়ে নিয়ে নিয়মিত ফোনের মেমরি পরিষ্কার করুন। এতে ফোনের গতিও বাড়বে, জায়গাও। হ্যাং করার সম্ভাবনা কমবে।