মাসে বড় জোর ৬ দিন জেগে থাকেন পুরখারাম। প্রতীকী ছবি।
রাজস্থানের পুরখারাম। ছোট শহরের বাসিন্দা। মুদির দোকানের মালিক। যদিও মাসে মাত্র পাঁচ দিনই তিনি দোকান চালান। কারণ বাকি দিনগুলি তিনি পুরোপুরি ঘুমিয়ে থাকেন। সব মিলিয়ে বছরে ৩০০ দিন তাঁর কাটে এ ভাবেই। ঘুমিয়ে।
কেন পুরখারামের এত ঘুম? চিকিৎসকেরা বলছেন তিনি ‘অ্যাক্সিস হাইপারসমনিয়া’য় আক্রান্ত। এ এমন এক অদ্ভুত সমস্যা, যাতে ঘুম ভাঙতেই চায় না। দিনের পর দিন মানুষ ঘুমিয়ে কাটান। পুরখারামের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। স্থানীয়দের মধ্যে ‘কুম্ভকর্ণ’ নামে খ্যাত পুরখারামকে ঘুমন্ত অবস্থাতেই তাঁর পরিবারের মানুষ স্নান করিয়ে দেন, খাইয়ে দেন।
কিন্তু পুরখারামের মতো এত মারাত্মক অবস্থা না হলেও দেশের বড় অংশের মানুষ ‘অ্যাক্সিস হাইপারসমনিয়া’য় আক্রান্ত। এমনই বলছে ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন’ (এনসিবিআই)। দেশের সমগ্র নাগরকদের মধ্যে প্রায় তিন থেকে চার শতাংশ এই সমস্যায় ভুগছেন বলে জানাচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানের রিপোর্ট।
কী হয় এতে?
• মূলত দিনের বেলা ঘুমের পরিমাণ বা চাহিদা বেড়ে যায়।
• ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০ ঘণ্টার বেশি সময় ঘুমিয়ে থাকতে ইচ্ছা করে।
• জীবনের স্বাভাবিক ছন্দ ব্যাহত হয়।
কুম্ভকর্ণের অসুখে ভুগছেন দেশের তিন থেকে চার শতাংশ মানুষ।
এর কারণ কী কী হতে পারে?
• স্লিপ অ্যাপনিয়ার মতো সমস্যা।
• অতিরিক্ত মেদ।
• মদ্যপানের অভ্যাস।
• মাথায় চোট।
• অবসাদের মতো সমস্যা।
পুরখারামের মতো না হলেও এই ঘুমের সমস্যায় আক্রান্ত দেশের বহু মানুষ, বলছে সমীক্ষা।
কী থেকে বোঝা যাবে এই রোগ হয়েছে কি না
• ঘুম ভাঙছেই না। একসঙ্গে অনেকগুলি অ্যালার্ম দিয়েও ঘুম ভাঙানো যাচ্ছে না।
• কোনও কাজে মন বসছে না।
• সব সময় ঝিমুনি।
• মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে।
কী ভাবে এর চিকিৎসা হতে পারে?
• মূলত অবসাদের ওষুধ দেওয়া হয় এই রোগের ক্ষেত্রে।
• চিকিৎসকেরা মদ্যপান বা অন্য নেশা ত্যাগ করার পরামর্শ দেন।