ছবি : সংগৃহীত।
সমালোচনা ভাল। তবে তখনই যখন তা গঠনমূলক হয়। যে সমালোচনা উল্টো দিকের মানুষটির জীবনের লক্ষ্য বা উদ্দেশ্যের পরোয়া না করেই উড়ে আসে এবং মানসিক শান্তি নষ্ট করে, তা থেকে নিজেকে দূরে রাখাই শ্রেয়। কিন্তু, চাইলেই কি সমালোচক বা এ ক্ষেত্রে বলা ভাল, নিন্দকদের চুপ করানো যায়! মনস্তাত্ত্বিকেরা বলছেন, যায়, যদি কয়েকটি উপায় জানা থাকে। আর তা মেনে চলার মতো মনের জোর থাকে! বিরূপ সমালোচনায় অনেকেই ভেঙে পড়েন। পাল্টা জবাব দিতে পারেন না। মনোবিদেরা বলছেন, জবাব দেওয়ার দরকারও নেই। একটি বাড়তি শব্দও ব্যয় না করে পাঁচ উপায়ে নিন্দকদের চুপ করাতে পারেন। আত্মবিশ্বাসই আপনার সেরা অস্ত্র।
আত্মসচেতনতা
নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে অবগত হোন। আপনার প্রত্যেকটি সাফল্য, প্রত্যেকটি জোরের জায়গা, কেন আপনি মূল্যবান— সব কিছুর মূল্যায়ন করুন। একই সঙ্গে নিজের দুর্বলতার জায়গাগুলিও ঠিক করুন। যাতে আত্মপ্রত্যয় অটুট থাকে। নিজেকে জানার আরও একটি কার্যকর উপায় হল দিনলিপি লেখা। মনে রাখবেন, নিন্দকেরা যা বলছেন, তা আদতে তাঁদের নিজেদেরই বিপন্নতা বা নিরাপত্তাহীনতার প্রতিফলন। তাই আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করতে পারলে, কোনও নিন্দাই আপনাকেই ছুঁতে পারবে না। তাই যতই খারাপ মন্তব্য শুনতে হোক না কেন, শান্ত থাকুন। প্রত্যয়ী থাকুন।
নীরবতা
নিন্দকদের মুখ বন্ধ করার সবচেয়ে জোরালো অস্ত্র হল নীরবতা। যতই খারাপ লাগুক না কেন, কোনও প্রতিক্রিয়া দেবেন না। তাতে অনেকগুলি লাভ হবে।
১। আপনি দেখাতে পারবেন, নিজের আবেগের উপর আপনার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
২। আপনার মূল্যবান সময় বাঁচবে।
৩। বিতর্ক বাড়তে না দিলে আপনার মানসিক শান্তি বজায় থাকবে।
৪। আরও ভাল কিছুর জন্য আপনি আপনার মানসিক শক্তি বাঁচিয়ে রাখতে পারবেন।
ইতিবাচক মানুষ
সেই সব মানুষের সঙ্গে থাকুন, যাঁরা আপনাকে ইতিবাচক ভাবনা ভাবতে সাহায্য করবেন। যাঁরা আপনাকে সঠিক দিশা দেখাবেন। এতে আপনি নিজে ভাল থাকবেন তো বটেই, নেতিবাচক মন্তব্যকে সহজে এড়াতেও পারবেন।
প্রকৃত সত্তাকে চিনুন
নিজের সবচেয়ে বিরল বৈশিষ্ট্যটি খুঁজে বার করুন। প্রয়োজনে তা প্রকাশ করুন। যেটা ভাল লাগে, সেটাই করুন। নিজের পরিচয় তৈরি করুন। নিজেকে প্রকৃত সত্তাকে ভালবাসলে কোনও নিন্দাই আপনার গায়ে লাগবে না। অন্যরা কী ভাবছেন, তা-ও আপনাকে প্রভাবিত করবে না।
ফলেন পরিচিয়তে
ফলেই পরিচয়। ফলের দিকে লক্ষ্য স্থির রেখে নিজের কাজ করে যান। নিন্দকেরা কে কী বলছেন, তাতে মন না দিয়ে বরং মনঃসংযোগ করুন কাজে এবং ফলে। ছোট ছোট লক্ষ্য স্থির করে তা পূরণ করার দিকে মনোনিবেশ করুন। এতে যেমন আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে, তেমনই আপনার যোগ্যতার প্রমাণও মিলবে।