ছবি: অনির্বাণ সাহা।
দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো কাটিয়ে উত্সবের মরসুম এখন শেষবেলায়। আগামী সপ্তাহে পাঁচ দিনব্যাপী আলোর উত্সব। এ বছর ১৭ অক্টোবর ধনতেরাস দিয়ে উত্সব শুরু। এর পর ১৯ অক্টোবর কালীপুজো, ২০ অক্টোবর দিওয়ালি ও ২১ অক্টোবর ভাইফোঁটা।
সারা দেশে টানা পাঁচ দিন ধরে পালিত হয় দীপাবলি উত্সব। কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশীর দিন শুরু হয় উত্সব। এই দিন কোনও ধাতু কেনার রেওয়াজ। সোনার গয়না, রুপোর মুদ্রা বা বাসন— যা ধন, সম্পদ, সমৃদ্ধি বোঝায় এমন কিছু কেনার দিন। মনে করা হয় ধনতেরাস আমাদের জীবনে সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসে। এর পর আসে ছোটি দিওয়ালি। যখন ব়়ড়ি দিওয়ালির আয়োজন করা হয়। শুরু হয়ে যায় বাড়ি সুন্দর করে সাজানো। বাঙালিদের কাছে এই দিন ভূত চতুর্দশী। ঘর, বাড়ি পরিষ্কার করে অলক্ষ্মী, অশুভ শক্তি, অমঙ্গলকে দূরে রাখার পাশাপাশি এ দিন চোদ্দ পুরুষের আত্মার উদ্দেশ্যে প্রদীপ জ্বালায় বাঙালিরা।
ছোটি দিওয়ালির পর দিনই বড়ি দিওয়ালি। এ বার সারা ভারতে বড়ি দিওয়ালি পালিত হবে। লক্ষ্মী পুজো, বাজি পোড়ানো, পরিবারের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করার রেওয়াজ এ দিন। দিওয়ালির পর দিন করা হয় গোবর্ধন পুজো। এর পর ভাইদুজ বা ভাইফোঁটা দিয়ে সমাপ্ত হয় পাঁচ দিনের উত্সব।
সারা দেশে এই সময় লক্ষ্মীপুজো করার রেওয়াজ থাকলেও বাঙালিরা দীপাবলির সময় দীপান্বিতা কালীপুজো করে থাকেন। সারা রাতব্যাপী পুজোর পর দীপাবলিতে বাঙালিরা যখন ভোগ বিতরণ করেন সারা দেশে তখন আত্মীয়, পরিজন, বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে কাজু বরফি, বেসনের লাড্ডু, সন পাঁপড়ি বিতরণ করা হয়।
আলোর উত্সব
১৪ বছর বনবাসের পর এই রাম অযোধ্যায় ফেরেন। সে দিন পুরো অযোধ্যা সেজে উঠেছিল আলোয়। তেলের প্রদীপ জ্বালিয়ে, ফুলের রঙ্গোলি সাজিয়ে রামচন্দ্রকে স্বাগত জানিয়েছিল গোটা অযোধ্যাবাসী। সেই থেকেই এই দিন দেশ জুড়ে পালিত হয় দীপাবলি উত্সব।