প্রতীকী ছবি।
বাড়ির বড়দের দেখে অনেক সময়ে শিশুরা চা খেতে চায়। বিশেষ করে এই অতিমারির সময়ে বড়দের সঙ্গেই বেশি সময় কাটায় তারা। ফলে বাকিদের মতোই চলাফেরা করতে চায়।
কিন্তু চা চাইলে কি তাদের তা দেওয়া উচিত? এ নিয়ে যুগ যুগ ধরেই মত পার্থক্য আছে। অনেকে কালো চা না দিলেও শিশুদের গ্রিন টি দেন। তা-ও কি আসলে শিশুদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল?
প্রতীকী ছবি।
গ্রিন টি-তে নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। তা শরীরের বহু সমস্যার সমাধান করতে পারে। আর কী কী ভাবে গ্রিন টি সুস্থ থাকতে সাহায্য করে?
গত কয়েকর বছরে সারা বিশ্বেই গ্রিন টি-র জনপ্রিয়তা বেড়েছে। তার মূল কারণ হল, এতে রয়েছে স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার মতো নানা ধরনের উপাদান।
সাধারণত ক্যাফিন যুক্ত পানীয় শিশুদের না দিতেই বলা হয়। চা-কফিতে যথেষ্ট পরিমাণ ক্যাফিন থাকে। তাই তা শিশুদের রোজের খাদ্যতালিকায় রাখা হয় না। তবে কালো চায়ের চেয়ে গ্রিন টি-তে ক্যাফিনের মাত্রা অনেকটাই কম। ফলে শিশুদের মাঝেমধ্যে তা দিলে ক্ষতি নেই। বিশেষ করে ঠান্ডা লাগার মতো সমস্যা থাকলে একটু লেবুর রস আর মধু মিশিয়ে নেওয়া যায় গ্রিন টি-র সঙ্গে। এতে যে কোনও অসুস্থতায় শরীরের ভিতরের প্রদাহ কমে।
দাঁতের জন্যও গ্রিন টি ভাল। যে সব শিশুর দাঁতে সমস্যা রয়েছে, তাদের মাঝেমাঝে গ্রিন টি দেওয়া যেতে পারে। এতে উপস্থিত কাটেকিন মুখের ব্যাকটিরিয়ার সঙ্গে লড়ে।
গ্রিন টি হজমশক্তিও বাড়ায়। তার মধ্যে সামান্য আদা কুচি দিয়ে দিলে আরও ভাল ভাবে হজমের হতে পারে। শিশুদের এখন অনেকটা সময়েই বাড়ি বসে কাজ করতে হচ্ছে। খেলাধুলোর অভাবে হজমের গোলমালও দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে দিনে এক বার গ্রিন টি খেলে উপকার হতে পারে।