লকডাউন উঠলেও এড়াতে হবে ট্যাক্সি বা অ্যাপক্যাব?
কোভিড-১৯ এড়াতে প্রথম থেকেই বেশ কিছু স্বাস্থ্যবিধি ও অভ্যাস মেনে চলার কথা বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে। যত দিন এগিয়েছে, রোগের ভয়াবহতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই সব সতর্কতায় যোগ হয়েছে একের পর এক বিষয়। সম্প্রতি ট্যাক্সি ও অ্যাপক্যাবে ওঠার বিষয়েও সচেতনতার কথা জানাল ‘হু’।
কিন্তু কেন এড়াব?
“কেন এড়াবেন না?’’ পাল্টা মন্তব্য জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুবর্ণ গোস্বামীর। তাঁর কথায়, ‘‘ট্যাক্সি ও অ্যাপক্যাবে ওঠা যে কোনও মেট্রোপলিটন শহরের ক্ষেত্রেই সমস্যার। এখন যদিও লকডাউন চলছে, তবে এটা উঠলেই ফের ট্যাক্সি ও অ্যাপক্যাবে ওঠার হুড়োহুড়ি পড়বে। অথচ, বেশির ভাগ বিদেশি মানুষ বাইরে বেরলে এই অ্যাপক্যাবগুলো পছন্দ করেন। ট্যাক্সির বেলাতেও একই ভয়। ওই সিটে যে একটু আগে কোনও আক্রান্ত ব্যক্তি বসে ছিলেন না বা এই ট্যাক্সি বা অ্যাপক্যাব কোনও হাসপাতালে রোগীকে পৌঁছে দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হয়নি, তার কোনও প্রামণ নেই।’’
থেকে যাচ্ছে আরও একটা ফ্যাক্টর। জানালেন সংক্রামক অসুখ বিশেষজ্ঞ অমিতাভ নন্দী। তাঁর মতে, ‘‘ এই ট্যাক্সি বা অ্যাপক্যাবের চালক আক্রান্ত কি না, তা নিয়েও ভয় থেকেই যায়। মনে রাখতে হবে, সাধারণ মানুষের শরীরে এই ভাইরাস ঢুকে এক সপ্তাহ থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত চুপ করে থাকে। তাই অসুখের উপসর্গ প্রকাশ পেতে দু’সপ্তাহ অবধি সময় লাগতে পারে। সুতরাং কে আক্রান্ত, কে নন, তা নিয়েও তো সংশয় থাকছেই!’’
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস কী ভাবে ছড়াচ্ছে? অসুখ প্রতিরোধ করবেন কী করে?
আরও পড়ুন: কোভিড ১৯–এর ওষুধ এসে গেল? কী বলছেন চিকিৎসকরা
বাড়িতে লোকজনের সংস্রব এড়িয়ে থাকাকেই শ্রেষ্ঠ উপায়।
তা হলে উপায়?
বিশেষজ্ঞদের মতে, একটাই উপায়— সোশ্যাল আইসোলেশন। বাড়িতে থাকুন, বাড়ির খাবার খান, বার বার হাত ধুয়ে নিন, নাকে-মুখে হাত দেবেন না। বাইরে না বেরলে ট্যাক্সি বা অ্যাপক্যাবের প্রয়োজনও নেই। তাই ভাইরাস রুখতে সেরা সমাধান বাড়িতে থাকা।