টক দই কী ভাবে খাবেন? ছবি: সংগৃহীত।
বহু চেষ্টা করেও পেটের গোলমাল আটকাতে পারছেন না। আটকাবেনই বা কী করে? পেটের ভিতরে যে জাঁতাকল রয়েছে, সে তো বিরাম পাচ্ছে না। উল্টে এই কয়েক মাস তাকে একটু বেশি খাটতে হচ্ছে। এক দিকে নানা রকম উৎসব-অনুষ্ঠান, অন্য দিকে একের পর এক বিয়েবাড়ি। ফলত, পেটের গোলমাল হচ্ছে। গরম কালে না হয় ঘোল, টক দই খেয়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু অনেকেই বিশ্বাস করেন, শীতকালে দই খেলে ঠান্ডা লেগে যায়। তাই মাইক্রোঅয়েভে হালকা গরম করেও দই খান অনেকে। ফ্রিজে রাখা টক দই হালকা গরম করে খাওয়া যেতেই পারে। কিন্তু শীতকালে টক দই খাওয়া যায় না, এই ধারণা সঠিক নয়। যাঁদের দই খেলে অসুবিধা হয়, তাঁদের সব ঋতুতেই সমস্যা হবে। ফ্রিজ থেকে বার করে সরাসরি দই খেলে ঠান্ডা লাগবেই। তার সঙ্গে দইয়ের কোনও যোগ নেই। আবার, রাতে টক দই খেলে আমাশয়ের প্রকোপ বাড়তেই পারে। সেই দোষও কিন্তু দইয়ের নয়। বরং ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখা টক দই খেলে উপকারই হবে।
শীতকালে টক দই খেলে কী কী উপকার হয়?
১) শীতকালে খাওয়াদাওয়ার উপর লাগাম রাখা মুশকিল। ফলত পেটের গন্ডগোল অবধারিত। গরম কালের মতো শীতকালেও পেটের যাবতীয় গোলযোগ সামাল দিতে পারে টক দই।
২) ক্যালশিয়াম, প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদানে ভরপুর টক দই ঠান্ডায় সামগ্রিক ভাবে শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
৩) শীতে জ্বর, সর্দি, ফ্লুয়ের মতো সমস্যা বাড়ে। নিয়মিত টক দই খেলে ঠান্ডা লাগার ভয় তো থাকেই না, উল্টে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে এই খাবার।
নিয়মিত টক দই খেলে ঠান্ডা লাগার ভয় থাকে না। ছবি: সংগৃহীত।
৪) ওজন ঝরাতে দিন-রাত এক করে ফেলছেন যাঁরা, তাঁদের জন্য টক দই অত্যন্ত উপকারী। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে যতই কসরত করুন, বিপাকহার ভাল না হলে কিন্তু ওজনের কোনও পরিবর্তন নজরে আসবে না। বিপাকহার ভাল রাখতে নিয়মিত টক দই খেতে হবে।
৫) শীতে যাঁদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায়, তাঁরা বাইরে প্রসাধনী মাখার পাশাপাশি নিয়ম করে টক দই খেতে পারেন। ভিটামিন বি১২-এ সমৃদ্ধ টক দই ত্বককে ভিতর থেকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে।