বিশেষ ‘শেঙ্গন’ ভিসার আবেদন প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল। ছবি: সংগৃহীত।
দেশের বাইরে অধিকাংশ জায়গায় যেতে হলে ভিসার আবেদন করতে হয়। তবে এক একটি দেশের ক্ষেত্রে বিদেশি নাগরিক, পর্যটকদের জন্য এক এক রকম নিয়ম থাকে। ইউরোপে যেমন একটি মাত্র ভিসা দিয়েই ২৭টি দেশে ঘোরা যায়। তবে বিশেষ এই ‘শেঙ্গন’ ভিসার আবেদন প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল। নথিপত্র যাচাই করার জন্য ভিসার দফতরে যেতে হয়। নির্দিষ্ট সময়ে সেখানে পৌঁছতে না পারলে গোটা প্রক্রিয়াটি আবার পিছিয়ে যায়। সেই নিয়মেই এ বার বদল ঘটতে চলেছে। এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলি। একটি প্রেস বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, আবেদন প্রক্রিয়ার দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য গোটা বিষয়টিকে ডিজিটাল করার কথা ভাবা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতারা এই সিদ্ধান্তের স্বপক্ষে মত দিয়েছেন। এই সিদ্ধান্তে পর্যটকেরা বিশেষ সুবিধা পাবেন বলে আশাবাদী তাঁরা।
কী ভাবে এই ভিসা আবেদন করতে হবে?
অনলাইন পোর্টালটি চালু হয়ে গেলে শর্ট স্টে অর্থাৎ, নির্দিষ্ট কয়েক দিন থাকার জন্য আবেদন নেওয়া শুরু হবে। আবেদন করতে নিজে নথিপত্র জমা করতে হবে। এর সঙ্গে জমা দিতে হবে ভ্রমণ সংক্রান্ত নথিপত্র ও বায়োমেট্রিক তথ্য।
এর পর তথ্য যাচাই করে আবেদনকারীকে অনুমোদন দেবে কনসুলেট অফিস। সঙ্গে একটি ডিজিটাল সই করা বারকোড দেওয়া হবে। সেটি প্রিন্ট করে নিতে হবে বা ডিজিটাল উপায়ে সংরক্ষণ করা যাবে।
অনলাইনেই ভিসার টাকা জমা করা যাবে। অস্ট্রেলিয়াতে ইতিমধ্যেই এই প্রক্রিয়া চালু রয়েছে। এ বার ইউরোপেও শুরু হল সেটি।
কাদের দূতাবাসে যেতেই হবে?
প্রথম বার যাঁরা আবেদন করছেন, তাঁরা অনলাইনে আবেদন করলেও এক বার মুখ দেখাতে হবে কনস্যুলেটের অফিসে। সেখানেই হবে ফিজ়িক্যাল ভেরিফিকেশন।