শীত পড়ার আগেই একবার খেয়ে নেওয়া যায় কড়াইশুঁটির কচুরি। ছবি: সংগৃহীত।
ছোট ছোট নতুন আলুর দম সঙ্গে কড়াইশুঁটির কচুরির স্বাদ যেন অমৃত। তবে শীতের নতুন আলু এখনও বাজারে আসেনি। তার জন্য তো কড়াইশুঁটির কচুরি খাওয়া বন্ধ থাকতে পারে না। রবিবার বিশ্বকাপ ফাইনাল। সে দিন রাতেই বানিয়ে ফেলা যেতে পারে। তবে সমস্যা একটিই। কচুরির পেটের মধ্যে কিছুতেই কড়াইশুঁটির পুর থাকে না। বেলতে গেলেই ময়দা ফেটে তা বেরিয়ে আসে। কী ভাবে তৈরি করলে তা মনের মতো হবে, সেই পদ্ধতি দেওয়া রইল এখানে।
উপকরণ:
ময়দা: ২ কাপ
রিফাইন্ড তেল: প্রয়োজন মতো
ঈষদুষ্ণ জল: ১ কাপ
নুন: এক চিমটে
চিনি: এক চিমটে
বেকিং সোডা: এক চিমটে
কড়াইশুঁটি: ১ কাপ
আদা: সামান্য
গোটা জিরে: আধ চা চামচ
জিরে গুঁড়ো: আধ চা চামচ
ধনে গুঁড়ো: আধ চা চামচ
মৌরি গুঁড়ো: আধ চা চামচ
চাট মশলা: আধ চা চামচ
পদ্ধতি:
১) প্রথমে পাত্রে ময়দা, তেল, সামান্য নুন এবং বেকিং সোডা একসঙ্গে মিশিয়ে জল দিয়ে ভাল করে মেখে নিন। ময়দা খুব নরম করে মাখবেন না। মাখার পর অন্তত পক্ষে আধ ঘণ্টা পরিষ্কার, শুকনো কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন।
২) এ বার মিক্সিতে কড়াইশুঁটি এবং আদা ভাল করে বেটে নিন। মিহি করে বাটতে হবে। শিলে বাটতে পারলে আরও ভাল। এর মধ্যে কিন্তু জল দেওয়া যাবে না।
৩) এ বার ক়ড়াইতে সামান্য তেল দিন। তার মধ্যে দিন গোটা জিরে। এ বার কড়াইশুঁটি বাটা দিয়ে ভাল করে নাড়তে থাকুন।
৪) একে একে সমস্ত গুঁড়ো মশলা দিয়ে দিন। নুন এবং চিনি দিয়ে ভাল করে নাড়াচাড়া করুন। কড়াইশুঁটি একেবারে ঝুরঝুরে হয়ে এলে নামিয়ে নিন।
৫) এ বার মেখে রাখা ময়দা থেকে লেচি কেটে তার মধ্যে কড়াইশুঁটির পুর ভরে নিন। এখানে একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। কড়াইশুঁটি কচুরির লেচি কিন্তু লুচির মতো হবে না। তার চেয়ে আকারে বেশ খানিকটা বড় হবে। তা হলেই পুর লেচির মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসবে না।
৬) পুর ভরার পর লেচির মুখ বন্ধ করার সময়েও সতর্ক থাকতে হবে। ময়দা ছড়িয়ে একটু মোটা করে বেলে নিতে হবে কচুরি।
৭) তেল গরম হলে গ্যাসের আঁচ কমিয়ে গরম গরম কড়াইশুঁটির কচুরি ভেজে তুলে নিতে হবে। হিং দেওয়া নিরামিষ আলুর দমের সঙ্গে পরিবেশন করুন কড়াইশুঁটির কচুরি।