একত্রবাস নিয়ে কী পর্যবেক্ষণ হাই কোর্টের? প্রতীকী ছবি
তরুণ প্রজন্ম এখন মনে করে বিয়ে একটি খারাপ জিনিস। যা এড়িয়ে গেলে দায়িত্ব, কর্তব্য ছাড়াই স্বাধীন ভাবে বাঁচা যায়। আগে মনে করা হত, স্ত্রী ‘সারা জীবনের বিনিয়োগ’। এখন তরুণ প্রজন্ম ভাবে, স্ত্রী মানেই ‘সারা জীবনের ঝক্কি’। বিবাহবিচ্ছেদ সংক্রান্ত একটি মামলায় এমনই জানাল কেরল হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ।
৫১ বছর বয়সি এক ব্যক্তি বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে মামলা করেছিলেন। সেই মামলাতেই নিজেদের পর্যবেক্ষণ জানান দুই বিচারপতি, এ মহম্মদ মুস্তাক এবং সোফি থমাস। বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, ‘ঈশ্বরের নিজের দেশ বলে পরিচিত কেরল এক সময়ে নিবিড় পারিবারিক বন্ধনের জন্য বিখ্যাত ছিল। কিন্তু বর্তমানে পরকীয়ার মতো তুচ্ছ ও স্বার্থপর কারণের জন্য বিয়ের বন্ধন ভেঙে দেওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সন্তানের কথাও চিন্তা করা হচ্ছে না।’
এই প্রবণতা চলতে থাকলে বিবাদমান দম্পতি, একা হয়ে যাওয়া সন্তান কিংবা হতাশ বিবাহবিচ্ছিন্ন মানুষের সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে। আর তা হলে সামাজিক জীবনের শান্তি বিঘ্নিত হবে বলেই মত বিচারপতিদের। এ হেন ঘটনা ঘটলে সমাজের বৃদ্ধি ব্যাহত হবে বলেও বক্তব্য তাঁদের। পাশাপাশি তাঁদের মত, ভোগবাদী চিন্তাধারার প্রভাব ক্রমেই বাড়ছে বৈবাহিক সম্পর্কের উপর। বাড়ছে ‘লিভ ইন’ বা একত্রবাসের প্রবণতাও।