Senior Citizens

ধোঁয়া, বাজির শব্দ থেকে সামলে রাখুন বাড়ির বয়স্কদের, কী কী খেয়াল অবশ্যই রাখবেন?

দীপাবলির দিনে নিয়মের তোয়াক্কা না করেই বয়স্কেরা ইচ্ছামতো খেতে চাইবেন, মিষ্টিও খেয়ে ফেলবেন তাঁরা। অনেকে আবার পুজো উপলক্ষে উপোসও করতে চাইবেন। তাই কী কী খেয়াল অবশ্যই রাখতে হবে?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৪ ১২:১৯
Share:

দীপাবলি নিরাপদে কাটান বয়স্করা, কী ভাবে খেয়াল রাখবেন তাঁদের? ছবি: সংগৃহীত।

আলোর উৎসবেও ভিলেন হয়ে দাঁড়িয়েছে আতশবাজির ধোঁয়া আর বাজি ফাটানোর বিকট শব্দ। আইনের কড়াকড়িতে যদিও বাজি বিক্রি কমেছে, তা সত্ত্বেও বন্ধ করা যায়নি। কালীপুজোর রাত থেকেই চারদিকে বাজি পোড়ানো হবে। আর সেই ধোঁয়ায় বিষাক্ত হয়ে উঠবে বাতাস। বাজির ধোঁয়া ও শব্দে সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয় শিশু ও বয়স্কদের। যাঁদের হার্টের রোগ, সিওপিডি, হাঁপানি বা নানা রকম অসুখ আছে, তাঁদের যন্ত্রণা আরও বেশি। তাই এই সময়টাতে প্রবীণদের বিশেষ খেয়াল রাখা দরকার। তা ছাড়াও দীপাবলির দিনে নিয়মের তোয়াক্কা না করেই বয়স্কেরা ইচ্ছামতো খেতে চাইবেন, মিষ্টিও খেয়ে ফেলবেন। অনেকে আবার পুজো উপলক্ষে উপোসও করতে চাইবেন। তাই কী কী খেয়াল অবশ্যই রাখতে হবে?

Advertisement

বাজির ধোঁয়া থেকে দূরে

বয়স্কদের এই সময়ে বাড়ি থেকে বেরোতে না দেওয়াই উচিত। বিশেষ করে হার্টের অসুখ বা শ্বাসের সমস্যা থাকলে, বাজির ধোঁয়া বিপজ্জনক হতে পারে। এই বিষয়ে পালমোনোলজিস্ট পার্থসারথি ভট্টাচার্যের পরামর্শ, সম্ভব হলে বাড়িতেই দু’টি সার্জিক্যাল মাস্ক পরিয়ে রাখুন বয়স্কদের। যেখানে বাজি পোড়ানো হচ্ছে, সেখানে না যাওয়াই ভাল। হাঁপানি বা সিওপিডি থাকলে তার ওষুধ খেতে হবে। হাতের কাছে রাখতে হবে ইনহেলার। সন্ধের পরে ইনহেলার অন্তত দু’বার টেনে নিতে হবে।

Advertisement

বাজির জোরালো শব্দ ক্ষতিকর

ঘরের দরজা-জানলা বন্ধ রাখুন। যদি এলাকায় বা বাড়ির আশপাশে বেশি বাজি পোড়ে, তা হলে ইয়ার প্লাগ লাগিয়ে রাখুন কানে। ৮০ ডেসিবেলের উপর শব্দ একটানা শুনতে থাকলে কানের মারাত্মক ক্ষতি হবে। সেই সঙ্গে মাথাঘোরা, গা গোলানো, মাথা যন্ত্রণা শুরু হবে। কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালের ইএনটি চিকিৎসক প্রণবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শ, বাজি পোড়াতে হলে ফাঁকা জায়গায় গিয়ে পোড়ান বা এমন জায়গা বাছুন, যেখানে জনবসতি কম। বয়স্কদের কথা ভেবেই সচেতন ভাবে নিরাপদ দীপাবলি পালন করুন।

উপোস করতে দেবেন না

উপোস করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সকলের শরীর এক রকম হয় না, তাই সারা দিন না খেয়ে থাকার ধকল নেওয়ার ক্ষমতাও সকলের থাকে না। যদি উপোস করতেই হয় তা হলে ফলের রস, ঘোল, শরবতের মতো তরল সারা দিন ধরে খেতে হবে। ওষুধ বাদ দেওয়া যাবে না। রোজের যা যা ওষুধ খান, তা খেতেই হবে। উপোস ভাঙার পরেই লুচি, মন্ডা-মিঠাই বা পোলাও খেয়ে ফেললে শরীর আরও খারাপ হবে। সহজপাচ্য খাবারই খেতে হবে। অল্প নুন দিয়ে আলু সেদ্ধ খেলেন কিংবা ছোলা দিয়ে আলুর চাট করে খেলেন। সেগুলি উপকারে আসবে।

মিষ্টি খান পরিমিত

দীপাবলির দিন মিষ্টি খেতেই চাইবেন বয়স্কেরা। পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তীর পরামর্শ, মিষ্টি খেলেও পরিমিত খান। দিনে দু’টির বেশি নয়। ভাজা মিষ্টি না খাওয়াই ভাল। মিষ্টি খেলে সে দিন দুধ দিয়ে চা বা কফি খাবেন না। বরং দারচিনি, লবঙ্গ, আদা দিয়ে লিকার চা বা কফি খান। তা হলে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। মিষ্টি খালি পেটে খাবেন না। দুপুরে খাওয়ার পরে মিষ্টি খাওয়াই ভাল। তবে রাতে শেষ পাতে আবার মিষ্টি খেতে যাবেন না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement