এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে সব কিছু সামলানোর পাশাপাশি, সঞ্চয় করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ছবি: আইস্টক
৩০-৪৯ বছর বয়সিদের জেন ‘এস’ -এর পর্যায়ভুক্ত ধরা হয়। ২০১৯ সালের একটি গণনা অনুসারে ‘এস’ প্রজন্মের প্রায় ৮৯ শতাংশ বাবা-মায়েরা মানসিক চাপে ভুগছেন। পেশাগত জটিলতার পাশাপাশি, সুষ্ঠু ভাবে পারিবারিক দায়দায়িত্ব পালনও এর অন্যতম কারণ। সংসার চালানো, সন্তানের পড়াশোনা, বৃদ্ধ বাবা-মায়ের চিকিৎসা, সব দায়িত্ব একা হাতে সামলাতে গিয়ে বাড়ির কর্তাটি হিমসিম খেয়ে যান। তবে বর্তমান যুগে অর্থনৈতিক ভাবে সংসারের সব দায়িত্ব পালনের ভার একা পুরুষরা বহন করেন না। মহিলারাও সমান ভাবে এই দায়িত্ব ভাগ করে নেন। এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে সব কিছু সামলানোর পাশাপাশি, সঞ্চয় করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে বৃদ্ধ বাবা-মা এবং সন্তানদের একটি সুন্দর জীবন উপহার দেওয়া সম্ভব হবে। সব দায়িত্ব সামলেও কোন বিষয়গুলি মাথায় রাখলে ভবিষ্যৎ সঞ্চয়ের জন্য বাড়তি চিন্তা করতে হবে না?
১) প্রতি মাসে বেতন পেয়েই তার একটা অংশ আলাদা কোনও অ্যাকাউন্টে রেখে দিন। এ বার বাকি টাকা কোন খাতে কতটুকু খরচ করবেন, তার একটি ছক তৈরি করে নিন। খুব সমস্যায় না পড়লে সেই ছকের বাইরে যাবেন না। এতে সাময়িক অসুবিধা হলেও সুন্দর ভবিষ্যতের কথা ভেবে এটুকু করাই যেতে পারে।
২) চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পরে পেনশন, প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং অন্যান্য স্কিম থেকে কত টাকা পেতে পারেন, সে সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা রাখুন। এর ফলে ভবিষ্যতে সচ্ছল জীবনযাপন করতে আপনার ব্যক্তিগত সঞ্চয়ের পরিমাণ ঠিক কত হওয়া প্রয়োজন, তা বুঝতে পারবেন।
৩) কথা বলে বোঝানোই সন্তানকে শিক্ষা দেওয়ার একমাত্র পদ্ধতি নয়। বাবা-মায়েদের কাজের মাধ্যমেও জীবনের পাঠ নেয় সন্তান। আপনার বেহিসাবি খরচের প্রবণতা থাকলে তা প্রভাবিত করবে সন্তানকেও। তাই অপ্রয়োজনীয় খরচাপাতিতে রাশ টানা জরুরি। এতে সন্তান অর্থের মূল্য বুঝতে শিখবে। আপনারও সঞ্চয় বাড়বে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।