Jennifer Lopez and Ben Affleck

ঘর ভাঙছে ৫০ পার জেনিফার ও বেনের! বেশি বয়সে বিচ্ছেদ বাড়লেও, তা আটকানোর কিছু উপায় আছে

২০২০ সালে প্রকাশিত গবেষণাপত্র ‘আ জার্নাল অফ ফ্যামিলি ইস্যু’ জানাচ্ছে, পঞ্চাশোর্ধ্ব দম্পতিদের মধ্যে বিচ্ছেদের সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে গিয়েছে। কোন ভুলে এমন হয়? জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায়ে কী ভাবে আটকানো যায় বিচ্ছেদ?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০২৪ ১৯:২০
Share:

(বাঁ দিকে) জেনিফার লোপেজ় এবং অভিনেতা বেন অ্যাফ্লেক (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

আমেরিকান পপ তারকা জেনিফার লোপেজ় এবং অভিনেতা বেন অ্যাফ্লেকের বিয়ে ভাঙার গুঞ্জন ছড়িয়েছে। এই তারকা দম্পতি নাকি এক ছাদের তলায় আর থাকছেন না। বেনের তরফে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দায়ের হয়েছে। হলিউড পাড়ায় কান পাতলে তেমনটাই শোনা যাচ্ছে। দু’জনের পরিচয় বহু বছরের হলেও, সংসার পেতেছিলেন বছর দুয়েক আগে। এর মধ্যেই বিচ্ছেদের কথা শোনা যাওয়ায় নানা ধরনের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

Advertisement

বয়সের বিচারে দু’জনেই প্রৌঢ়ত্বের পথে হাঁটছেন। দু’জনেই ৫০ পেরিয়েছেন। কম বয়সের আবেগ, উন্মাদনা, আগু-পিছু না ভেবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্খলন এ সময়ে সাধারণত থাকে না। কিন্তু জেনিফার এবং বেনের সম্পর্কের সাম্প্রতিক সমীকরণ বলছে, বেশি বয়সের দাম্পত্যেও বিচ্ছেদের অন্ধকার নেমে আসতে পারে। ২০২০ সালে প্রকাশিত গবেষণাপত্র ‘আ জার্নাল অফ ফ্যামিলি ইস্যু’ জানাচ্ছে, পঞ্চাশোর্ধ্ব দম্পতিদের বিচ্ছেদের সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে গিয়েছে। কোন ভুলে এমন হয়? জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায়ে কী ভাবে আটকানো যায় বিচ্ছেদ?

সম্পর্কের শুরুর কথা মনে থাক

Advertisement

বেশি বয়সে দাম্পত্য শুরু হোক অথবা দাম্পত্য সম্পর্কের বয়স বেশি হোক, সঙ্গীর প্রতি আকর্ষণের, তাঁকে ভাল লাগার কারণগুলি ভুললে চলবে না। ভালবাসার রং যেন ফিকে না হয়ে যায়, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

কৌতূহল যেন নিভে না যায়

উল্টো দিকের মানুষটিকে পুরোপুরি জানার জন্য একটা জীবনও কম পড়ে যায়। বয়স বাড়লে কম বয়সের কৌতূহলী মনটা আর থাকে না। তাই বলে সঙ্গীকে জানার খিদেটা মরে যেতে দেওয়া যাবে না। জীবন তো পেঁয়াজের খোসার মতো। পরতে পরতে খোলে। বিভিন্ন বয়সে তার ভিন্ন ভিন্ন রূপ। কৌতূহল বজায় রাখলে একে-অপরকে নতুন করে আবিষ্কার করা যাবে।

সম্পর্কে সীমা থাকা

জীবনসঙ্গী মানেই পরস্পরের ব্যক্তিগত বিষয়ে অবাধ বিচরণের অধিকার থাকে না। অন্তত না থাকাটাই শ্রেয়। সম্পর্কের বয়স যা-ই হোক, সেটা আগলে রাখতে কিছু নিয়ম মেনে চলতেই হয়। সেই নিয়মগুলির মধ্যে এটি একটি। একে-অপরকে একটু নিজের মতো বাঁচতে দেওয়া জরুরি। নিজেরা ভাল থাকলে তবেই তো সম্পর্ক যত্ন পাবে।

জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায়ে কী ভাবে আটকানো যায় বিচ্ছেদ? ছবি: সংগৃহীত।

মনের কথা হোক খোলাখুলি

সঙ্গীর থেকে কোনও প্রত্যাশা, চাহিদা মনের মধ্যে দুয়ার এঁটে রাখবেন না। বরং সরাসরি বলে দিন। তাতে অনেক জটিলতা দূরে চলে যাবে। আবার উল্টো দিকের মানুষটি যা চাইছেন, সেই মুহূ্র্তে তা পূরণ করতে হয়তো অপারগ। সেটাও সঙ্গীকে বলে দিন। পারস্পরিক বোঝাপড়াটাই আসলে সম্পর্কের ভিত।

দাম্পত্য হোক রঙিন

সম্পর্কে একঘেয়েমি আসতেই পারে। কিন্তু কেন এল, সেটা নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করতে বসার কোনও মানে নেই। বরং কী ভাবে এই একঘেয়েমি কাটানো যায়, সেটা পরিকল্পনা করুন। সম্পর্কের উদ্‌যাপন অত্যন্ত জরুরি। সেটা করার কোনও বাঁধাধরা কাঠামো নেই। পুরোটাই ব্যক্তি ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement