সন্তানের অভিব্যক্তির পরিবর্তনের মুখোমুখি হয়ে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন বাবা-মায়েরা। প্রতীকী ছবি।
বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আচরণে বদল আসে। সেটা অত্যন্ত স্বাভাবিক বিষয়। সন্তানের শৈশবের কথাবার্তার সঙ্গে কৈশোরের আচরণ মিলবে না। কিন্তু সেই বদল ইতিবাচক হওয়া জরুরি। শিশুসুলভ আচরণ যদি খারাপ ব্যবহারে রূপান্তরিত হয়, সে ক্ষেত্রে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা জরুরি। বয়ঃসন্ধির সময়ে শুধু শরীরে নয়, নানা বদল আসে মনেও। তবে সেই বদলের প্রতিফলন বড়দের অসম্মান করা হতে পারে না। সন্তান কি কথায় কথায় মেজাজ দেখাচ্ছে? একেবারেই কথা শুনছে না? বোঝাতে গেলেও সমানে তর্ক করে যাচ্ছে? সন্তানের অভিব্যক্তির পরিবর্তনের মুখোমুখি হয়ে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন বাবা-মায়েরা। বকুনি দিয়ে ফেলেন। তাতে পরিস্থিতি অনেক সময়ে হাতের বাইরে চলে যায়। বকুনি দেওয়া কিংবা মারধর করায় কোনও সমাধান মেলে না। বরং অন্য পথে হেঁটে দেখুন।
১) প্রথমেই বকুনি না দিয়ে সন্তানের এই ধরনের আচরণের কারণ খোঁজার চেষ্টা করুন। অনেক সময়ে বাচ্চারা তাদের মনের কথা সঠিক ভাবে বুঝিয়ে উঠে পারে না। সেই অপারগতা থেকেই অসহায়তা কাজ করে। অসহায়তা ঢাকতেও দুর্বিনীত আচরণ করে ফেলে। আপনার সন্তানও এই ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে কি না, কথা বলে বোঝার চেষ্টা করুন।
২) বড়দের হাবভাব প্রকাশ পায় কথাবার্তায়? একেবারেই বয়সোচিত নয়, এমন কোনও শব্দ যদি সন্তান বলে থাকে, তা হলে তাকে সেখানেই থামান। অনেক সময়ে শব্দের অর্থ না বুঝেই অনেক কিছু বলে ফেলে বাচ্চারা। ফলে সে ধরনের শব্দবন্ধের বদলে নতুন কোনও শব্দ শেখান, যেগুলি শিশুর বোধগম্য হবে।
৩) ভাল ব্যবহার করার একটা আলাদা আনন্দ রয়েছে। সেটা শিশুকে বোঝান। রেগে গেলেও নিজেকে কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে সে, তা শেখানো জরুরি। যদি সন্তান আপনার কথা শুনে তেমন পথেই হাঁটে, তা হলে প্রশংসা করতেও ভুলবেন না।
৪) সন্তানের সঙ্গে বাবা-মায়ের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হওয়া জরুরি। সব সময়ে তার খুঁত ধরবেন না। তাতে শিশুর মনে ক্ষোভ জমা হতে থাকে। তারই বহিঃপ্রকাশ হতে পারে সন্তানের রুক্ষ আচরণ।