পোষ্যের আচরণ বদলাচ্ছে কি না লক্ষ্য করুন। ছবি: ফ্রিপিক।
দিনভর কাজের শেষে বাড়ি ফিরে আদরের পোষা কুকুর বা বিড়ালকে কাছে ডেকেও দেখলেন সে আসছে না। এক কোণায় চুপটি করে বসে আছে অথবা ঝিমোচ্ছে। পোষ্যের পছন্দের খাবার দিয়েও দেখলেন খেতে চাইছে না। সেই ছটফটে ভাবটা যেন উধাও হয়েছে। বাড়ির বাইরেও বেরোতে চাইছে না। এইসব লক্ষণ দেখলে বুঝতে হবে আপনার পোষ্য অসুস্থ। ভিতরে ভিতরে এমন কোনও রোগ বাসা বেঁধেছে যা শারীরিক ভাবে প্রচণ্ড দুর্বল করে দিয়েছে। পোষ্যের কোন লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন?
সারমেয়র আচরণে কোনও বদল হচ্ছে কি না সেটা অবশ্যই লক্ষ করা দরকার। অনেক সময় দেখা যায় পোষ্য চিৎকার করেই চলেছে। আপনি ধরতে গেলেও রেগে যাচ্ছে। বাইরের কাউকে দেখলেও তেড়ে যাচ্ছে। এমন যদি বার বার করতে থাকে, তা হলে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে।
পোষ্যের মলমূত্রে যদি রক্ত দেখেন, তা হলে সতর্ক হতে হবে। যদিও প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত দেখা দেওয়া শুধুমাত্র মূত্রনালির সংক্রমণের কারণে হয় না। তা অন্য আরও অনেক রোগের উপসর্গ হতে পারে।
যদি দেখেন, ওর চনমনে ভাবটা ক্রমশ কমে যাচ্ছে, আপনাকে দেখেও মাথা নীচু করে শুয়ে আছে, কাছে ঘেঁষছে না তেমনভাবে, তাহলে বুঝবেন ওর শরীর ভাল নেই। পশু চিকিৎসকেরা বলছেন, পোষা কুকুরের অল্পেই ক্লান্তি, সব সময় ঝিমুনি, দুর্বলতা, খেলতে না চাওয়া, আচরণে বদল শারীরিক অসুস্থতার লক্ষণ।
পোষা কুকুর বা বিড়ালের মূত্রনালির সংক্রমণ হতে পারে। তখন তাদের খিদে কমে যায়, দুর্বল হয়ে পড়ে। যদি দেখেন বার বার প্রস্রাব করতে যাচ্ছে, জল চাইছে তখন দেরি না করে পশু চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। সংক্রমণ হলে প্রস্রাবে দুর্গন্ধ আরও বেড়ে যাবে।
আগে হয়তো দেখতেন আপনি খাবার নিয়ে বসলেই আপনার পোষ্য ছুটে চলে আসত। নিজের পছন্দের খাবার দেখলেও লেজ নেড়ে চেখে দেখতে চাইত। কিন্তু ইদানীং হয়তো দেখছেন সে খেতে চাইছে না। পছন্দের খাবার দিলেও ফেলে দিচ্ছে। অথবা খাওয়ার পরেই বমি করে ফেলছে। এমন লক্ষণ দেখলে পশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।