Porimoni Arrest Warrent

আদালতে আত্মসমর্পণ, অবশেষে জামিন পেলেন দুই বাংলার অভিনেত্রী পরীমনি

এর আগে আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে পরীমণি বলেছিলেন, তিনি বরাবর অন্যায়ের প্রতিবাদ করে এসেছেন, আগামীতেও করবেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:৫৫
Share:

জামিন পেলেন পরীমনি। ছবি: ফেসবুক।

ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের দায়ের করা হামলা ও প্রাণনাশের হুমকির মামলা রুপোলি পর্দার এই নায়িকার বিরুদ্ধে। যার জেরে রবিবার ঢাকা আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল। সোমবার আদালতে গিয়ে আইন মেনে আত্মসমর্পণ করলেন পরীমনি। সঙ্গী আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত, আপ্ত সহায়ক তুরান মুন্সী। এর পরেই জামিন পান অভিনেত্রী।

Advertisement

গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর যথেষ্ট বিব্রত হয়েছিলেন অভিনেত্রী, কিন্তু ভীত নন তিনি, ও পার বাংলার সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’কে জানিয়েছিলেন পরীমনি। এ বার কী পদক্ষেপ তাঁর? জানতে সেই সময় আনন্দবাজার অনলাইনও নায়িকার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল। ফোনে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে জানা গিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে বিব্রত বোধ করলেও ভয় পাননি পরীমনি। আইনজীবী মারফত আদালতে জামিনের আবেদন করবেন। আশা, জামিন মিলবে। পরে বাংলাদেশের সমাজমাধ্যমকে জানান, অসুস্থতার কারণে তিনি আদালতে উপস্থিত থাকতে পারেননি। সে কথা আইনজীবী মারফত আদালতকে জানিয়েছিলেন। উদাহরণ দিয়ে জানান, তাঁর অনুপস্থিতি একান্তই অনিচ্ছাকৃত। এ রকম মানসিকতা থাকলে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেও আদালতে হাজিরা দিতেন না।

শনিবার টাঙ্গাইলের একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। বাংলাদেশের জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের টাঙ্গাইল এবং কালিহাতী শাখার আপত্তির কারণে তিনি যেতে পারেননি বলে খবর। এর পরেই অভিনেত্রী সমাজমাধ্যমে একটি বার্তা ভাগ করে নেন। লেখেন, “এত চুপ করে থাকা যায় নাকি! পরাধীন মনে হচ্ছে। শিল্পীদের এত বাধা কেন আসবে? নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি!”

Advertisement

প্রশ্নও তোলেন, কেন স্বাধীন দেশে নিরাপদ নন দেশবাসী? উদাহরণ হিসেবে দেশের খ্যাতনামী মেহজাবীন, পরশী-র নাম উল্লেখ করেন। জানান, তাঁরাও এর আগে হেনস্থার শিকার হয়েছেন! পরের দিনই তাঁর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ায় ও পার বাংলার অনেকেরই প্রশ্ন, সমাজমাধ্যমে প্রতিবাদ জানানোর ফলেই কি তড়িঘড়ি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি?

এই প্রশ্ন বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমও পরীমনির কাছে করেছিল। তাঁর জবাব, “কোনও কালেই অন্যায় দেখে চুপ থাকিনি। আগামীতেও থাকব না। আমার গায়ে লাগলে কাউকে ছেড়ে কথা বলব না। বাকিদের মতো চুপ করে থাকতে পারি না।” তাঁর দাবি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে যদি বারে বারে জেলে যেতে হয় তাতেও রাজি তিনি। পাল্টা প্রশ্নও তোলেন, “কিছু বললেই যদি জেলে পাঠায় তা হলে তো দেশের কেউ কথাই বলবে না! সবাই কি বোবা হয়ে থাকবে?”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement