পোষা পাখির যত্ন নেবেন কী ভাবে, জেনে নিন। ছবি: ফ্রিপিক।
আপনি নিজে যা খান তা-ই পোষা পাখিকে খাওয়াচ্ছেন না তো? তাহলে কিন্তু মুশকিল। পাখির প্রজাতি, ওজন অনুযায়ী তার ডায়েট আলাদা হবে। খাঁচার পাখিরা খুব সংবেদনশীল হয়। তাদের ঠিকমতো যত্ন করার প্রয়োজন হয়। পশু চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, পোষা পাখির খাওয়াদাওয়ায় বিশেষ খেয়াল রাখতে হয়। পাখির খাবারে যেন ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি৩, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড সঠিক মাত্রায় থাকে সেটা দেখা খুবই দরকার। না হলেই অপুষ্টিতে ভুগতে পারে পোষ্য পাখি।
পাখি অপুষ্টিতে ভুগলে কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। অনেক সময়েই সেইসব লক্ষণ আমরা বুঝতে পারি না। ফলে পাখির কী সমস্যা হচ্ছে সেটা ধরতেও অনেক সময় লেগে যায়। আপনার পোষা পাখি সুস্থ আছে কি না তা বুঝবেন কী ভাবে?
১) পাখি অপুষ্টিতে ভুগলে প্রচণ্ড দুর্বল হয়ে পড়বে। সবসময়ে ঝিমোবে।
২) পালক উঠতে শুরু করবে। খেয়াল করবেন, পাখি মাঝেমধ্যেই তার গা থেকে পালক ছেড়ার চেষ্টা করছে। এই লক্ষণ ভাল নয়।
৩) পালকের রঙও বদলে যেতে পারে। প্রোটিনের অভাব হলে এমন লক্ষণ দেখা দেয়।
৪) পাখির ঠোঁটের চারপাশে ও মুখের ভেতরে হলদেটে সাদা ছোপ পড়ে যাবে। সেটা খেয়াল করতে হবে।
৫) পাখি বিক্রেতারা বলছেন, অপুষ্টি হলে পাখি কিছু খেতে চাইবে না। তার আচরণেও বদল আসবে। খাবার খাওয়াতে গেলে তেড়ে আসবে বা ঠুকরে দেওয়ার চেষ্টা করবে।
৬) পাখির ঠোঁটের উপরে গভীর ক্ষত তৈরি হতে পারে। অপুষ্টিতে ভোগা পাখির শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে বিভিন্ন রকম সংক্রমণজনিত রোগ দেখা দিতে পারে।
আপনি কেমন পাখি পুষছেন সেই অনুযায়ী তার ডায়েট ঠিক করতে হবে। পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই পোষ্যকে খাবার দিন। যেসব খাবার পাখির খাদ্যতালিকায় নেই, তা খাওয়াবেন না। এতে পাখির সমস্যা হবে। আর খাবারের গুণগত মানও যেন ঠিক থাকে, সে ব্যাপারে খেয়াল রাখুন। পাখিকে শস্যদানার মিশ্রণ, যেমন গম, ভুট্টা, ধান, তিল, তিসি, বাদাম, সূর্যমুখী বীজ দেওয়া যেতে পারে। পাখিকে পাকা পেঁপে, কলা, আপেলের টুকরা, জাম, লিচু ইত্যাদিও দেওয়া যেতে পারে। ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি৩ দরকার পাখির। প্রোবায়োটিকও দিতে হবে। সে জন্য কী ধরনের খাবার খাওয়াবেন তা পশু চিকিৎসকের থেকে জেনে নেওয়াই ভাল।