Relationship Tips

সম্পর্কে ফাটল ধরাতে পারে নিরাপত্তার অভাব, কোন উপায়ে সুন্দর হবে যৌথ জীবন?

সব সময়ে ভালবাসার মানুষটি পাশে থাকবেন, এই ভাবনাই নিরপত্তার জন্ম দেয়। ভাল সম্পর্কের জন্য এই নিশ্চয়তাটুকু খুব জরুরি। কী ভাবে সম্পর্কে নিরাপত্তার অভাব দূর করবেন জেনে নিন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪ ১৬:৪৪
Share:

সম্পর্কে বাঁধন মজবুত করবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।

হাত বাড়ালেই পাওয়া যাবে পাশের মানুষটিকে। বিপদে পড়লে ভালবাসার মানুষটি আগলে রাখবে, এই ভাবনাই নিরাপত্তার জন্ম দেয়। যে কোনও সম্পর্কে এই নিরাপত্তার বোধটা খুব জরুরি। সমস্যায় পড়লে ভালবাসার মানুষটি যদি পাশ থেকে সরে যান, তবে সেই সম্পর্ক আদৌ মজবুত থাকে কি?

Advertisement

কোন পথে সুন্দর হবে সম্পর্ক?

খোলা মনে কথা বলুন

Advertisement

মন খুলে সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলুন। ভালাবাসার সম্পর্কে দু’জন মানুষ নির্দ্বিধায় মনের কথা ভাগ করে নেবেন সেটাই কাম্য। অনেক সময়ে সম্পর্কে এক জন, অন্য জনের কাছে কিছু কথা আড়াল করার চেষ্টা করেন। এই আড়াল করার চেষ্টাই কিন্তু অন্যের মনে সন্দেহ তৈরি করতে পারে। যা থেকে ভবিষ্যতে বিশ্বাসহীনতা, নিরপত্তার অভাব তৈরি হতে পারে সঙ্গীর মনে। একই ভাবে সঙ্গীর প্রতি কথায় প্রশ্ন তুললে, বিচার করার চেষ্টা করলে তিনি কিন্তু খোলা মনে কথা বলতে পারবেন না।

মানসিক সমর্থন

সঙ্গীর কথা শুনুন। তাঁকে বলতে দিন। বিশেষত তিনি যদি কোনও সমস্যায় বা দ্বন্দ্বে থাকেন। তাঁর মন বোঝার চেষ্টা করুন। তিনি কী চাইছেন বুঝে তাঁর পাশে দাঁড়ান। হতে পারে সঙ্গীর সিদ্ধান্তের সঙ্গে আপনি সহতম নন, তবু ক্ষেত্র বিশেষে তাঁকে মানসিক সমর্থন জোগাতে হবে। যেমন ধরুন, আপনার সঙ্গী একটি ব্যবসা শুরু করেছে। অনেক টাকা বিনিয়োগের পরও সে ভাবে চলছে না। সেই মুহূর্তে তিনি কিন্তু নিজেই দুশ্চিন্তায় আছেন। আবার প্রচণ্ড চেষ্টা করছেন ব্যবসাটা সঠিক ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। এই পরিস্থিতিতে নিঃশর্ত ভাবে আপনার সঙ্গীর পাশে থাকুন। তিনি কেন ব্যবসা করতে গেলেন, সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল, আপনি আগেই এ ব্যাপারে রাজি ছিলেন না, তাও তিনি শোনেননি এই ধরনের কথা কিন্তু তখন কিছুতেই বলবেন না। তাতে আপনার সঙ্গী আপনার কাছ থেকে যে সমর্থন আশা করছেন, তা তো পাবেননই না, উল্টে সম্পর্কে খারাপ প্রভাব পড়বে।

বিশ্বাস

একটা সম্পর্কের ভিত হল বিশ্বাস। তা এক বার নড়ে গেলেই নিরাপত্তার অভাব তৈরি হবে। সম্পর্কে সত্যি কথা বলাটা অন্যতম শর্ত। একসঙ্গেই কথা রাখাটাও সু-সম্পর্কের ভিত তৈরির জন্য জরুরি। যে কথা রাখতে পারবেন না, সেই কথা না বলাই ভাল।

নিজস্ব পরিসর

সম্পর্কে প্রত্যেকেরই অন্যকে সম্মান করা উচিত। প্রত্যেকেরই নিজস্ব একটি স্বাধীনতার জায়গা আছে। সেই পরিসরে কিন্তু ঢোকা চলবে না। প্রতিটা মুহূর্তে যদি এক জন অন্যের কাজ, পদক্ষেপে নজরদারি চালানোর চেষ্টা করে, তখন সেই সম্পর্ক গলায় ফাঁস হয়ে চেপে বসতে পারে। যেমন ধরুন, অফিস থেকে বেরিয়ে সঙ্গীকে ফোনে জানালেন। কিন্তু তার পরের মুহূর্ত থেকে যদি ফোন আসতে থাকে, এখন কোথায়, এত সময় লাগছে কেন, এত ক্ষণে তো বাড়ি এসে যাওয়ার কথা তা হলে তিনি বিরক্ত হবেনই। সেই সময়টায় তিনি সহকর্মীদের সঙ্গে গল্প করতে পারেন, খাবার খেতে পারেন। তাঁরও তো নিজস্ব জগত আছে।

সমর্থন

ভালবাসার মানুষ সুখের পাশাপাশি দুঃখের দিনেও থাকবে, কোনও অবস্থাতেই ছেড়ে যাবে না, এই ভাবনাই সম্পর্ককে মজবুত করে তোলে। এই বোধই নিরাপত্তার জন্ম দেয়। সেই বিশ্বাসের মর্যাদা রাখা উচিত দু’জনেরই।

নির্ভরতা

একে অন্যের প্রতি নির্ভরতা সম্পর্ককে আরও সুন্দর করে তোলে। যে মানুষের উপর নির্ভর করা যায় না, তিনি কি ভালবাসার জন হতে পারেন?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement