বন্ধু মুখোশধারী নয় তো? ছবি: সংগৃহীত।
বন্ধুত্বের নির্দিষ্ট কোনও সংজ্ঞা হয় না। বন্ধুত্ব মানে নিবিড়, নিরাপদ আশ্রয়। বন্ধুত্বে গোপনীয়তা থাকে না। থাকে একরাশ ভালবাসা, ভরসা, বিশ্বাস। পরিস্থিতি ভাল হোক বা মন্দ, বন্ধুত্বের হাত অনেকটা ভরসা জোগায়। তবে সকলেরই বন্ধুভাগ্য সোনায় মোড়ানো হয় না। অনেকেই বন্ধুর ছদ্মবেশে থাকেন। তাঁদের মুখ এবং মন এক কথা বলে না। বন্ধুত্ব নামক মুখোশের আড়ালে থাকেন। আপনার বন্ধুবৃত্তে এমন মুখোশধারী কেউ নেই তো? কোন লক্ষণগুলি দেখে বুঝবেন?
বিপদে পাশে না থাকা
প্রাণের বন্ধু অথচ সমস্যায় তাঁকে পাশে পাওয়া যায় না, এমন বন্ধুত্ব কি আদৌ খাঁটি? বন্ধুর বিপদের দিনে বন্ধুরাই এগিয়ে আসে সবচেয়ে আগে। সব কিছুর সমাধান করে দিতে না পারলেও, বন্ধুর ভরসা শক্তি জোগায়। বন্ধু বলে যাঁকে জানেন, কোনও সমস্যায় তাঁকে পাশে না পেলে বন্ধুত্বের সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি ভেবে দেখা জরুরি।
ভুল সমর্থন করা
বন্ধু ভুল করছে দেখেও তাঁকে ক্রমাগত সমর্থন করে যাওয়া প্রকৃত বন্ধুর কাজ নয়। বরং বন্ধুর ভুলটি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে তাঁকে রক্ষা করাই এক জন ভাল বন্ধুর দায়িত্ব। দেরিতে হলেও, যদি উপলব্ধি করেন আপনার বন্ধুতালিকায় এমন কেউ আছেন, তা হলে তাঁর থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলা জরুরি।
সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হওয়া
বন্ধুত্বে যদি ভেজাল না থাকে, তা হলে এক বন্ধুর সাফল্যে অন্য বন্ধুর মুখে হাসি ফুটতে বাধ্য। বন্ধুর সাফল্য উদ্যাপনের চেয়ে বড় আনন্দ আর কী-ই বা হতে পারে। তবে সব ক্ষেত্রে তা হয় না। আপনার সাফল্যে যদি বন্ধুর চোখে ঈর্ষা দেখতে পান, তা হলে বন্ধুত্ব নিয়ে একটু ভাবা দরকার।
অন্যদের নিয়ে সমালোচনা
বন্ধুদের গল্পের না থাকে শুরু, না থাকে শেষ। একবার শুরু হলে আড্ডা যেন থামতেই চায় না। নিজেদের কথা বলার চেয়ে বন্ধু কি সব সময় অন্যের সমালোচনা করতে বেশি উৎসাহী? সে ক্ষেত্রে হতেই পারে অন্য কারও কাছে আপনাকে নিয়ে সমালোচনা করেন। তেমন হলে একটু সতর্ক হওয়া জরুরি।
নিজের মত চাপিয়ে দেওয়া
নিজের মত প্রকাশের অধিকার সকলেরই আছে। তাই বলে নিজের মতামত অন্যের উপর চাপিয়ে দেওয়া যায় না। বন্ধুত্বে তো এই বিষয়টি অনেক বেশি সহজ এবং সাবলীল হওয়ার কথা। অথচ কোনও বিষয়ে আলোচনা করলেই বন্ধু কি নিজের মত প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন? তা হলে বন্ধুর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে খোলাখুলি কথা বলুন।