যোগেই বদলে যেতে পারে সম্পর্কের সমীকরণ! ছবি: সংগৃহীত।
এক বার কোনও সম্পর্কের বাঁধনে বাঁধা পড়লে সেই সম্পর্কের যত্ন নেওয়া সহজ কাজ নয়। সম্পর্কের আয়ু যত বাড়তে থাকে, দু’জনের সম্পর্ক যখন অভ্যাসে পরিণত হয়, তখনই শুরু হয় সমস্যা। কখনও জেনেবুঝে, কখনও আবার অজান্তেই ক্রমশ জটিল হয়ে পড়ে সম্পর্কের সমীকরণ। ঘরে-বাইরে নানা ধরনের কাজ, পারিবারিক দায়দায়িত্ব সামলে নিজেদের জন্য সময় বার করতে ভুলে যান দম্পতিরা। পারস্পরিক দূরত্ব আরও বাড়ে, জটিলতা আরও বাড়ে। এ সব থেকে মুক্তি পেতে ভরসা রাখতে পারেন যোগাসনে। শরীরের সঙ্গে মনকে শান্ত করতেও যোগচর্চা দারুণ উপকারী। জেনে নিন, সম্পর্কের ভিত মজবুত করতে যোগাসন কী ভাবে সাহায্য করে।
শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে যোগাসনের গুরুত্ব অনেকখানি। নিয়মিত যোগচর্চা করলে মানসিক চাপ, উদ্বেগের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। সম্পর্কে ভালবাসার জোয়ার আনতে শারীরিক সক্ষমতার পাশাপাশি মানসিক দৃঢ়তারও প্রয়োজন রয়েছে।
সম্পর্কের সমীকরণ ঠিক করতে কী ভাবে সাহায্য করে যোগাসন?
১) মনের যত্ন নিতেও নিয়মিত যোগচর্চার অভ্যাস করতে পারেন। সঙ্গীর সঙ্গে মিলে যোগাসন করলে মন শান্ত থাকার পাশাপাশি একে অপরের সঙ্গে খানিক ক্ষণ একান্তে সময় কাটানোর সুযোগও তৈরি হয়। ব্যস্ত জীবনে নিজেদের জন্য আলাদা করে সময় বার করার সুযোগ পান না অনেকে, যোগাসনের মাধ্যমে সেই সুযোগ সহজেই তৈরি হতে পারে।
২) সম্পর্কের ভিত মজবুত রাখতে হলে একে অপরের উপর বিশ্বাস রাখা জরুরি। যৌথ ভাবে যোগাসন করলে একে অপরের প্রতি নির্ভরশীলতা বাড়ে, বিশ্বাসও বাড়ে। এই সব ছোট ছোট বিষয় মাথায় রেখে চললে ব্যক্তিগত সম্পর্কের সমীকরণও সহজ হয়।
৩) যুগলে শরীরচর্চা করলে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে শরীর এবং মনে। নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়াও ভাল হয়। শরীরে ‘হ্যাপি’ হরমোনের ক্ষরণও বেড়ে যায়।
৪) যৌথ ভাবে যোগাসন করলে একে অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাও বাড়ে। এ ছাড়া নিয়মিত যোগাসন করলে যৌনজীবনও সুখের হয়। যে সব দম্পতি দাম্পত্য জীবনে যৌনসুখ উপভোগ করতে পারছেন না, তারা নিয়মিত একসঙ্গে যোগাসন করে দেখতে পারেন, উপকার পাবেন।