কাজের চাপের প্রভাবে সম্পর্কের টানাপড়েন? প্রতীকী ছবি
প্রতিনিয়ত চাপ বাড়ছে কর্মক্ষেত্রে। বাড়তে থাকা চাপে কাছাকাছি আসার বা শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহ হারাচ্ছেন দম্পতিরা। এমনই বলছে সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা। সমীক্ষকদের মতে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা এতই প্রবল হয়ে দেখা দিচ্ছে যে, সন্তান পেতে শরণাপন্ন হতে হচ্ছে আইভিএফ পদ্ধতির।
এক আন্তর্জাতিক সমীক্ষক সংস্থা ব্রিটিশ নাগরিকদের উপর চালিয়েছে সমীক্ষাটি। সমীক্ষাটি বলছে, ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সি দম্পতিরা সবচেয়ে বেশি আগ্রহী নিয়মিত যৌন মিলনে। কিন্তু বয়স তিরিশের কোঠা পেরোলে অনেকটাই কমে যাচ্ছে এই প্রবণতা। ৩৫ থেকে ৩৯ বছর বয়সি দম্পতির ক্ষেত্রে সবচেয়ে কম শারীরিক মিলনের সাপ্তাহিক গড়।
কিন্তু কেন ঘটছে এমন? কারণ হিসাবে উঠে এসেছে কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত চাপের তত্ত্ব। গবেষকরা বলছেন, কর্মব্যস্ততার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে মানুষের শয়নকক্ষেও। অতিরিক্ত কাজের চাপে ৩০ বছর আগের তুলনায় এখন দম্পতিদের যৌন মিলনের হার প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে ওই সমীক্ষায়। সন্তানধারণে আগ্রহী দম্পতিদের মধ্যে বাড়ছে আইভিএফ পদ্ধতির ব্যবহারও।
কর্মব্যস্ততার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে মানুষের শয়নকক্ষেও? প্রতীকী ছবি
প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগে ল্যাঙ্কাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় জানা গিয়েছিল, অফিসে শেষ হচ্ছে না কাজ। অফিস সেরে বাড়ি ফেরার পরও বড় সংখ্যক দম্পতি ব্যস্ত থাকছেন ল্যাপটপ কিংবা মোবাইলে। ফলে ব্যক্তিগত মুহূর্ত তৈরি হতে অসুবিধা হচ্ছে। বাড়ছে শারীরিক ও মানসিক দূরত্ব। তবে একটি সমীক্ষাকে ধ্রুব সত্য বলে মেনে নেওয়া বাঞ্ছনীয় নয়। দরকার আরও গবেষণা।