bizarre

Bizarre: সেরা যৌনতৃপ্তি দেয় তাঁর গাড়ি, দাবি যুবকের! কী করে, জানালেন খুঁটিনাটি

১৯৮৮ শেভি মন্টে কার্লো গাড়ির সঙ্গেই তাঁর গভীর সম্পর্ক। জানিয়েছেন, জীবনের সেরা সঙ্গম গাড়ির সঙ্গেই।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লস অ্যাঞ্জেলস শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২২ ১৪:২৮
Share:

ন্যাথানিয়েল জানিয়েছেন বহু দিন পর্যন্ত তাঁর এই অদ্ভুত সম্পর্ক নিয়ে কাউকেই কোনও কথা বলতে পারেননি। ছবি: সংগৃহীত

সুখী সম্পর্কের চাবিকাঠি কী? ৩৭ বছরের ন্যাথানিয়েলের জন্য তাঁর গাড়ির চাবিই যথেষ্ট! কারণ তিনি তাঁর গাড়ির সঙ্গে বহু দিন ধরে নাকি সম্পর্কে রয়েছেন। আদর করে গাড়ির নাম দিয়েছেন ‘চেজ’। ২০১২ সালে এক তথ্যচিত্রও তৈরি হয় তাঁর যন্ত্রের সঙ্গে এই ‘অযান্ত্রিক’ সম্পর্ক নিয়ে।

Advertisement

আরকানসাসের ন্যাথানিয়েল জানিয়েছেন বহু দিন পর্যন্ত তাঁর এই অদ্ভুত সম্পর্ক নিয়ে কাউকেই কোনও কথা বলতে পারেননি। কিন্তু বস্তুর প্রতি আকর্ষণ বা অবজেক্টোফিলিয়া নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্রে তিনি তাঁর মনে সব কথা উজাড় করে দেন। তিনি জানান, গাড়ির স‌ঙ্গে তাঁর মনের মিল রয়েছে। টেলিপ্যাথি দিয়ে তাঁরা কথা বলেন। এমনকি, সঙ্গমে লিপ্ত হন বিভিন্ন ভঙ্গিতে। তাঁর এবং চেজের একটি আলাদা গানও রয়েছে। সেই প্রিয় গান চালিয়েই তাঁর অন্তরঙ্গ মুহূর্তগুলি কাটে।

Advertisement

২০০৫ সালে এক শোরুমে চেজ-কে প্রথম দেখেন ন্যাথানিয়েল। প্রথম দেখাতেই প্রেম। নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি। সেই থেকে চলছে তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক। শারীরিক আকর্ষণ একটুও কমেনি এখনও পর্যন্ত। ন্যাথানিয়েলের কথায়, ‘‘আমার গাড়ির সঙ্গে সম্পর্কটা যথেষ্ট গভীর। গাড়ির বাইরের রূপ দেখেই আমি আকৃষ্ট হয়ে পড়েছিলাম। মনে হয়েছিল যেন আমরা একে অপরের জন্যই তৈরি। আমাদের সব সময়ই ভাল সময় কাটে।’’

ন্যাথানিয়েল আরও বুঝিয়ে বললেন, ‘‘অনেক সময়ই আমাদের মধ্যে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে যায়। গাড়়ির বনেট আমার প্রিয়। তা স্পর্শ করলে আমার শরীর শিহরন বয়ে যায়। আরও এক ভঙ্গিতে আমরা মিলিত হই। গাড়ির নীচে ঢুকে পড়ি আমি। এটা আবার চেজের খুব প্রিয় ভঙ্গি।’’

২০০৫ সালে এক শোরুমে চেজ-কে প্রথম দেখেন ন্যাথানিয়েল। প্রথম দেখাতেই প্রেম। নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি।

তথ্যচিত্রে দেখা যায় ন্যাথানিয়েল গাড়িতে চুমু খেয়ে প্রেম নিবেদন করছেন। তিনি জানান, কৈশোর থেকেই তাঁর গাড়ি ভাল লাগত। কিন্তু সে সময়ে তেমন ভাবে ভেবে দেখেননি। পরে বুঝতে পারেন, গাড়িই তাঁর আসল প্রেম। ন্যাথানিয়েল জানিয়েছেন, গাড়িতে কোনও আঁচড় পড়লে তাঁর খুব কষ্ট হয়, ‘‘মনে হয় যেন হৃদ্‌স্পন্দন আটকে গেল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement