খুদেকে কী করে বইমুখী করে তুলবেন? ছবি: ফ্রি পিক।
বই পড়া নিঃসন্দেহে ভাল অভ্যাস। কিন্তু বইপ্রেমীদের দুঃখ, নতুন প্রজন্ম বই পড়ে না। শিশুরা গল্প শোনার বদলে, বই পড়ার বদলে মোবাইলে কার্টুন দেখতে ব্যস্ত। ছোট বয়সেই তারা দিব্যি মোবাইল গেমে হাত পাকিয়েছে। তবে এ জন্য তাদের দোষও দেওয়া যায় না। বহু বাড়িতেই খুদে সদস্যদের সঙ্গ দেওয়ার লোকের অভাব। গল্প শোনানোর কেউ নেই। কিন্তু বইয়ের আগ্রহ তৈরি করতে গেলে বাড়িতে সেই পরিবেশ থাকা দরকার।কী ভাবে খুদেকে বই পড়ায় উৎসাহ দেবেন।
উপহার
খেলনার জন্য খুদে বায়না করলে, তা কেনার পাশাপাশি বইয়ের দোকানেও নিয়ে যান। রঙিন বইয়ের সম্ভার দেখিয়ে তাকে বেছে নিতে বলুন। বাড়িতে এসে সেই বইটা দিয়ে দেখুন, সে কী করছে? নিজে থেকে বই খুলতে না চাইলে অভিভাবককে তার সঙ্গে বসে বইয়ের গল্প করতে হবে। ছোটবেলায় কী ভাবে বই কিনতেন, কোথা থেকে পড়তেন, সেই গল্পও বলতে পারেন।
বইয়ের ঘর
বাড়ির এক কোণে বা ঘরে বই রাখুন। ছোটরা অনুকরণপ্রিয়। বড়দের দেখেই শেখে। দিনের কোনও একটা সময় সে যদি বাবা, মা অথবা বাড়ির অন্যদের বই পড়তে দেখে, তা হলে তার মধ্যেও ধীরে ধীরে কৌতূহল তৈরি হবে।সন্তানের বয়সি অন্য শিশুদের জন্মদিনে উপহার হিসাবে বই তুলে দিন, তা হলেও খুদেটি বই সম্পর্কে সচেতন হতে শিখবে।
খেলার ছলে পড়া
খুদেকে কিনে দেওয়া বইয়ের গল্প বলা শুরু করুন। খানিকটা মুখে বলার পরে বইটা খুলে পড়তে পারেন। কিছুটা পড়ার পর খুদেকে বলুন জোরে জোরে কয়েকটা লাইন পড়ে শোনাতে। কিছুটা আপনি, কিছুটা সন্তান পড়বে। এ ভাবে মজা করেই তার মধ্যে বই সম্পর্কে আগ্রহ তৈরি করা যেতে পারে।
বইমেলা
শীতের দিনে বিভিন্ন জায়গায় মেলা হয়। মেলায় ঘুরতে গিয়ে বইয়ের স্টলে সন্তানকে নিয়ে যেতে পারেন। তাকে বই পছন্দ করতে বলুন। বই কিনে দিন। বিভিন্ন মেলায় নিয়ে গিয়ে বই কিনে দিলে, তার মধ্যেও ধারণা জন্মাবে, মেলা থেকে বই কিনতে হয়। শিশুকে মাঝে মধ্যে জিজ্ঞাসা করুন, সে কী পড়েছে। গল্পটা তাকে বলতে বলুন।