দূরে থেকেও সম্পর্কের বন্ধন হোক দৃঢ়। ছবি: সংগৃহীত।
রাখিবন্ধন হল ভাইবোনের উৎসব। অথচ এমন দিনে ভাই কাছে না থাকলে দিদি-বোনের মনখারাপ হওয়া সঙ্গত। অনেকেরই দাদা কিংবা ভাই কর্মসূত্রে দূরে থাকেন। আবার দিদি-বোনেরাও বাইরে থাকার কারণে ভাইয়ের হাতে রাখি বেঁধে দিতে পারেন না। এমন দিনের জন্য আবার বছরখানেকের অপেক্ষা। তাই দূরে থেকেও কী ভাবে উৎসব পালন করা যায়, সেই উপায় খুঁজে নেওয়া শ্রেয়। ভৌগলিক দূরত্ব অতিক্রম কেমন হবে সেই উদযাপন?
ভিডিয়ো কল করুন
সামনাসামনি দেখা না-ই বা হল, রাখির দিন অন্য সব কাজ ফেলে ভিডিয়ো কলেই ভাইয়ের সঙ্গে চুটিয়ে আড্ডা দিন। জমে থাকা কত একে-অপরের সঙ্গে ভাগ করে নিন। সম্পর্কের বন্ধন দৃঢ় করার জন্য রাখি পরানোর চেয়েও কথা বলাটা বেশি জরুরি।
সাজগোজ হোক
সেজেগুজে একসঙ্গে সেলফি তোলার সুযোগ নেই। তাই বলে সাজগোজ করবেন না? ভাইকে যখন ভিডিয়ো কল করার আগে নিজেকে পরিপাটি করে সেজে নিন। ভাইকেও বলুন একট ধোপদুরস্ত পোশাক পরতে। দু'জনে মনের মতো সেজে একে-অপরকে চমকে দিন। দেখবেন দূরে আছেন সেটা মনেই হবে না।
রাখি পাঠান
পার্বণের দিনে ভাইয়ের হাত রাখি থাকবে না, সেটা ভেবে মনকেমন হতে পারে। তবে মনখারাপ না করে ভাইয়ের ঠিকানায় রাখি পাঠিয়ে দিন।বেশ কিছু অনলাইন সাইট আছে যাদের বাড়তি টাকা দিলে দিনের দিন রাখি পৌঁছে দেবে।
উৎসব পালন হোক দূরত্ব অতিক্রম করেই। ছবি: সংগৃহীত।
পছন্দের খাবার অর্ডার করে দিন
উৎসব মানেই খাওয়াদাওয়া। এ দিন দিদি-বোনেরা সামনে বসিয়ে ভাইদের পাত পেড়ে খাওয়ান। দূরে থাকার কারণে সেটা সম্ভব হয় না। তবে ভাইয়ের পছন্দের খাবার তাঁকে অর্ডার করে দিতে পারেন। ভাই খুশি হবেন। দিদিরাও স্বস্তি পাবেন।
উপহার
উৎসব মানেই উপহারের আদান-প্রদান। তবে উপহার দেওয়ার দায়িত্ব শুধু দিদি-বোনেদের নয়। ভাই-দাদাকেও উপহার দিতে হয়। তাই একে-অপরের পছন্দ জেনে নিয়ে অনলাইনে উপহার পাঠিয়ে দিন। আবার আগে থেকে না জানিয়ে চমকেও দিতে পারেন।