সারমেয়র পায়ের যত্নও জরুরি। সে দিকে নজর দিচ্ছেন তো? ছবি:ফ্রিপিক।
শীত পড়লেই ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া, গোড়ালি, ঠোঁট ফাটার সমস্যা খুব সাধারণ। এমন মরসুমে ত্বক, পায়ের বাড়তি যত্ন নেওয়ার দরকার পড়ে মানুষের। কিন্তু বাড়ির পোষ্য চারপেয়ের কথা ভেবেছেন কি?
ঠান্ডা মেঝেতে দিনরাত হেঁটে বেড়াতে গেলে তারও কিন্তু কষ্ট হতে পারে। মানুষের মতোই তারও পা-ও হারাতে পারে স্বাভাবিক আর্দ্রতা। তাই শীতের দিনে সারমেয়টির পায়ের যত্ন নেওয়া বিশেষ প্রয়োজন।
ঠান্ডা থেকে বাঁচতে: মার্বেলের মেঝে শীতের দিনে কনকনে ঠান্ডা হয়ে থাকে। মেঝেতে পা ফেললেই ঠান্ডা লাগে। পোষ্যেরও কিন্তু একই অবস্থা হয়। সারমেয়কে এমন মরসুমে আরামে রাখতে গেলে মেঝেয় গালিচা পেতে দিতে পারেন। না হলে পোষ্যের উপযোগী মোজা তাকে পরিয়ে রাখতে পারেন। ঘরের ভিতরে এবং বাড়ির বাইরের পরার জন্য বিভিন্ন ধরনের মোজা পাওয় যায়।
পরিচ্ছন্নতা: চলাফেরার ফলে পোষ্যের পা কিন্তু কম নোংরা হয় না। সারমেয়কে নিয়মিত স্নান করানোও চলে না। ফলে ভিজে কাপড় দিয়ে পা মুছিয়ে দেওয়া জরুরি। তবে শীতকালে ঈষদুষ্ণ জলে তোয়ালে ভিজিয়ে পা মোছানো জরুরি।
পায়ের বাম: সারমেয়র থাবার পরিচর্যায় কুকুরের জন্য পাওয়া যায়, এমন বাম কিনতে পারেন। তা মাখিয়ে দিকে পারেন কুকুরের পায়ের নীচের অংশে। ব্যবহার করা যায় পেট্রোলিয়াম জেলিও। তবে খেয়াল রাখা দরকার, বাম মেখে হাঁটতে গিয়ে পা হড়কে পড়ে যাতে না যায়।
কেটে গেলে: শীত হোক বা বর্ষা কিংবা গ্রীষ্ম, যে কোনও ঋতুতেই সারমেয়র থাবা পরিষ্কারের পাশাপাশি দেখা দরকার কোথাও কেটে গিয়েছে বা সংক্রমণ হচ্ছে কি না? পা কেটে গেলে সেখানে ধুলো-বালি ঢুকলে শরীরে সংক্রমণ ঘটতে পারে।
শরীরচর্চা: দিনভর ঘরে কম্বলের ওমে বসে থাকলে সারমেয়র ওজন বেড়ে যেতে পারে, খিদে-তেষ্টাও কমতে পারে। সে ক্ষেত্রে শরীরচর্চা করানো জরুরি। সারমেয়কে নিয়ে হাঁটাহাটি করলে তার শরীর ভাল থাকে। শীত পড়লে সে সব পাট তুলে না দিয়ে তাকে জুতো, জ্যাকেট পরিয়ে হাঁটিয়ে আনতে পারেন। নিদেন পক্ষে রোদে ছাদেও ছোটাছুটি করাতে পারেন।