ভিডিও গেমের প্রতি মোহ কাটাতে সময় দিন বাচ্চাকে ছবি-- সংগৃহীত
সামনে টেলিভিশনে চলছে কার্টুন, বাড়ির খুদে সদস্যটির চোখ আটকে টেলিভিশনের পর্দায়।
বাড়িতে অতিথি এসেছেন, অথচ বাড়ির শিশুটি মগ্ন ভিডিয়ো গেমে।
অনেক ক্ষণ চেষ্টার পরেও তাকে খাওয়ানো যাচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত মা ক্লান্ত হয়ে খুদের হাতে তুলে দিলেন নিজের মোবাইল ফোন। শিশুটিও খুলে ফেলল ইউটিউব। তার পরেই সে তাড়াতাড়ি খেয়ে নিল।
এই দৃশ্যগুলি আমাদের খুব চেনা। শিশুদের শান্ত রাখতে বড়রাই তাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন ফোন, ট্যাব, ভিডিও গেম। মোবাইলের পর্দাই এখন শিশুদের খেলার মাঠ। গত দু’বছরে অতিমারির কারণে বৈদ্যুতিন যন্ত্রের প্রতি শিশুদের মোহ বেড়েছে। লকডাউনে স্কুল বন্ধ, পার্ক বন্ধ, বন্ধ হয়ে গিয়েছে বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলোও। এতে শুধু শিশুর মানসিক নয়, সার্বিক বিকাশেও বাধা পাচ্ছে। এই শিশু দিবসের উপহার হিসাবে আপনার শিশুকে দিন নতুন একটি জগৎ।
শিশুকে টেলিভিশনের পর্দায় আটকে থাকতে দেবেন না ছবি- সংগৃহীত
কোন জিনিসগুলি মাথায় রাখবেন বড়রা?
১) বায়না করলেই শিশুর হাতে ফোন বা ভিডিও গেম তুলে দেওয়ার বদলে তাকে কিছুটা সময় দিন। তার সঙ্গে গল্প করুন।
২) জলদি খেয়ে নিলে ফোন দেখতে দেব, এ রকম প্রতিশ্রুতি দেওয়া বন্ধ করুন।
৩) বাড়ির পাশে পার্ক বা খেলার মাঠ থাকলে প্রতি দিন বিকেলে নিয়ম করে শিশুকে সেখানে নিয়ে যান।
৪) সপ্তাহে এক দিন করে অন্তত শিশুটিকে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করানোর ব্যবস্থা করুন। তবে স্বাস্থ্যবিধি খেয়াল রাখবেন তার আগে।
৫) শিশুদের অনুকরণ করার ক্ষমতা অত্যন্ত বেশি। তাই বাবা মায়েরা যন্ত্র থেকে দূরে থেকে বই পড়তে পারেন, বা টবে গাছের পরিচর্যা করতে পারেন। এতে শিশুরাও বড়দের দেখে একই কাজ করবে।