এমন অনেক সম্পর্কের উদাহরণ আছে যেখানে দাদারাই সম্পর্কের আসল কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতীকী ছবি।
কোনও মেয়েকে মনে ধরেছে? কিন্তু কিছুতেই তার মন জয় করতে পারছেন না? এ ক্ষেত্রে কিন্তু মেয়েটির দাদা বা ভাই আপনার মুশকিল আসান করতেই পারে। ভাবছেন কী করে? ভাই বা দাদার মন জয় করতে পারলেই তো কেল্লা ফতে! তাঁরা খুশি মানেই আপনার সম্পর্কের একটা গতি হলেও হতে পারে!
মেয়েদের জীবনে দাদাদের আলাদাই ভূমিকা থাকে। বাবাকে যে কথা বলা যায় না, সেই কথাগুলি তাঁরা ভাগ করে নেয় দাদাদের সঙ্গে। মেয়েদের ভাল-মন্দ, পছন্দ-অপন্দ সব দিকেই থাকে দাদাদের কড়া নজর।
ভাই-বোনের সম্পর্কে দাদারা সব সময়ই অভিভাবকের আসনে থাকে। অন্যায় করলে বকা থেকে শুরু করে বাবা-মায়ের বকুনি থেকে বোনকে আগলে রাখা সবটাই করে দাদা। এমন অনেক সম্পর্কের উদাহরণ আছে যেখানে দাদারাই সম্পর্কের আসল কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। জামাই বাবাজি দাদার মন জয় করতে ব্যর্থ, তাই সম্পর্কটই আর আর টেকানো গেলো না। আবার এমনও হয় যেখানে বাবা-মাকে রাজি করাতে দাদাই প্রধান ভূমিকা নিচ্ছে।
আপনার ক্ষেত্রেও কি ব্যাপারটা দাদাতেই আটকে আছে? ভাবছেন, কী করে দাদাকে পটানো যায়? রইল হদিস।
১) দাদাদের খোলাখুলি নিজেদের সম্পর্কের কথা খুলে বলুন। আপনার প্রেম যদি সত্যি হয়, তা হলে নিশ্চই আপনাদের কথা বুঝবেন তিনি। বাড়ির লোকদের রাজি করাতে তিনি বড় ভূমিকা নিতেই পারেন।
দাদা বা ভাই খুশি মানেই আপনার সম্পর্কের একটা গতি হলেও হতে পারে! প্রতীকী ছবি।
২) অনেক সম্পর্কেই বাবা-মায়েরা রাজি হন না। তাঁরা সেকেলে মানুষ। সে ক্ষেত্রে দাদারাই কিন্তু আপনার পরিস্থিতি বুঝতে পারবেন। তাঁকে রাজি করাতে পারলেই বাবা-মায়েরা এমনিতেই রাজি হয়ে যাবে।
৩) বোনের কোনও রকম ক্ষতি হোক দাদারা তা কোনও দিনই চাইবেন না। তাই প্রেমিকার দাদার সামনে কোনও কিছু গোপন না করাই শ্রেয়। তাঁর সামনে কোনও বিষয় মিথ্যে বলতে যাবেন না। ধরা পড়লেই কিন্তু বিগড়ে যাবে সম্পর্ক।
৪) প্রেমিকার দাদার মন জয় করতে গিয়ে নিজের আসল পরিচিতিটা তাঁর কাছে গোপন করবেন না। আপনি যেমন তেমনটাই থাকুন। আপনার সারল্যই মনে ধরবে তাঁর।