মন ভাল রাখতে বাড়িতে আনুন পোষ্য। ছবি: ফ্রিপিক।
মন ভাল নেই? মানসিক চাপে চিড়েচ্যাপ্টা হয়ে যাচ্ছেন? মন ভাল রাখার কোনও টোটকাই যদি কাজে না আসে, তা হলে বাড়িতে নিয়ে আসুন পোষ্য। সময় কাটান ওর সঙ্গে। খেলাধূলা করুন। মনোবিদেরা বলছেন, একমাত্র পোষ্যই পারে মনের যাবতীয় উদ্বেগ-দুশ্চিন্তা দূর করতে। পোষ্যকে আদর করা, তার দেখাশোনা, খুঁটিনাটির খেয়াল রাখতে রাখতে কখন যে মনের চাপ দূরে পালাবে তা বুঝতেই পারবেন না। আপনার মন হবে সতেজ ও ফুরফুরে। শৃঙ্খলা আসবে জীবনেও। কী ভাবে?
১) সকাল থেকে রাত অবধি পোষ্যের খাওয়াদাওয়া, তাকে স্নান করানো, ওষুধ খাওয়ানো ইত্যাদি রুটিন মেনে চলতে চলতে শৃঙ্খলা আসবে আপনার জীবনেও। বাড়িতে কুকুর, বিড়াল যাই পুষুন না কেন, তার জন্য নিজের ঘর ও বাড়ির আনাচ কানাচ প্রস্তুত করতে হবে। নজর দিতে হবে আসবাবের সজ্জায়, পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে ঘর। আর এই কাজ করতে করতে আপনার মধ্যেও গোছানোর অভ্যাস তৈরি হয়ে যাবে।
২) পোষ্য ছটফটে হবেই। আর তাকে সুস্থ ও চনমনে রাখতে হলে, তার সঙ্গে খেলাধূলা করতেই হবে। ছাদে বা বাইরে নিয়মিত নিয়ে যেতে হবে পোষ্যকে। পোষ্য থাকলে তাকে বাইরে ঘুরতে নিয়ে যেতেই হয়। কোনও কারণ ছাড়া যাঁরা একা একা হাঁটতে বা ব্যায়াম করতে বেরোতে পছন্দ করেন না, তাঁদের একটি পোষ্য থাকা জরুরি। তখন পোষ্যকে হাঁটতে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিজেরও কিছুটা শরীরচর্চা হয়।
৩) দিনভর কাজের জায়গায় চিন্তা, উদ্বেগের পর বাড়ি এসে যখন দেখবেন, পোষ্যটি আপনার গা ঘেঁষে রয়েছে, আপনার সঙ্গেই খেলতে চাইছে, তখন নিমেষে সব দুশ্চিন্তা ভুলে যাবেন। মনোবিদেদের মতে, পোষ্যকে আদর করলেই কর্টিসল বা স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা কমবে। সুখী হরমোনের ক্ষরণ বাড়বে। আর আপনার মনও হয়ে উঠবে সজীব।
৪) পোষা কুকুরের মন বোঝার আশ্চর্য ক্ষমতা আছে। দেখবেন, আপনি বিমর্ষ থাকলে পোষ্য আরও বেশি কাছাকাছি থাকবে। আপনাকে সঙ্গ দেবে।
৫) একাকীত্বের সঙ্গীও হবে পোষ্য। তার সঙ্গে সময় কাটালেই সমস্ত হতাশা দূর হবে। অবসাদ গ্রাস করতে পারবে না।
৬) মনোবিদেদের মতে, পোষ্যের সঙ্গে বেশি সময় কাটালে উচ্চ রক্তচাপ, অনিয়মিত হৃৎস্পন্দনের সমস্যাও অনেক কমে যায়। মন যেহেতু ভাল থাকে, তাই হার্টও থাকে চনমনে।