লোম ঝরছে, চুলকানিতে কষ্ট পাচ্ছে পোষ্য, কী ভাবে যত্ন নেবেন। ছবি: ফ্রিপিক।
গরমে হোক বা বর্ষায়, পোষ্যের কি অতিরিক্ত লোম ঝরে যাচ্ছে? সেই সঙ্গেই সারা শরীরে চুলকানি। এমনিতেও বর্ষার সময়ে পরজীবীর সংক্রমণ হয় কুকুরদের। ছোট ছোট লালচে-কালো পোকা লোমের মধ্যে ঘুরে বেড়ায়। ফলে চুলকানি, লোম ঝরে যাওয়া, ঘা হতে পারে। আবার অ্যালার্জি জনিত সমস্যাতেও ভুগতে পারে পোষ্য। জেনে নিন কী কী কারণে লোম ঝরে পোষ্যের, আপনি কী ভাবে যত্ন নেবেন।
পোষা কুকুরের অতিরিক্ত লোম ঝরছে কেন?
১) গায়ে এঁটুলি বা টিক পোকার সংক্রমণ হলে লোম ঝরতে শুরু করে। গরম ও বর্ষার সময়ে এই ধরনের পোকা জন্মায় কুকুরদের গায়ে। ছোট ছোট এই পোকাগুলিকে ঘন লোমের মধ্যে থেকে খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন। পোকার কামড়ে জ্বরও আসতে পারে পোষ্যের।
২) বাতাসে ভাসমান জীবাণু, ধূলিকণা থেকেও সংক্রমণ হতে পারে। খুব বেশি ধোঁয়া, ধুলো বা অপরিচ্ছন্ন জায়গায় পোষ্যকে নিয়ে যাবেন না।
৩)খাবার থেকেও এই ধরনের সমস্যা হয়। আপনি রোজ যা খাচ্ছেন, তা কখনওই খাওয়ানো যাবে না পোষা কুকুরকে। তাদেরকে তেল, ঘি, মশলা ছাড়া খাবারই দিতে হবে। আবার দোকান থেকে কেনা প্যাকেটজাত কিছু খাবারও আছে যা থেকে অ্যালার্জি হতে পারে পোষ্যের। সে কারণেও লোম ঝরতে পারে।
৪) পুষ্টির অভাব হলেও লোম ঝরতে থাকে। তাই আপনার আদরের পোষ্যটি সঠিক পুষ্টি পাচ্ছে কি না তা খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনে পশু চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে হবে।
আপনার কী করণীয়?
১) অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার ত্বকের যে কোনও সংক্রমণ দূর করতে পারে। এর অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টি-ব্যাক্টিরিয়াল গুণ আছে। তবে সরাসরি ভিনিগার কুকুরের ত্বকে লাগাবেন না। জলে কয়েক ফোঁটা মিশিয়ে পোষ্যকে স্নান করাতে পারেন।
২) লেবুর রসও খুব উপকারী। ত্বকে ব্যাক্টিরিয়ার সংক্রমণ রোধ করতে পারে। ত্বকের স্বাভাবিক পিএইচের মাত্রা বজায় রাখে।
৩) পোষ্যের ত্বকে র্যাশ বা ঘায়ের মতো হলে সেখানে অলিভ তেল লাগাতে পারেন। তবে খুব অল্প পরিমাণে অলিভ তেলে নিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে।
৪) কুকুরের জন্য খাবার কেনার আগে ভাল করে দেখে নেবেন তার উপাদানগুলি কী কী। সেগুলি থেকে অ্যালার্জি হচ্ছে কি না তা বুঝতে পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।
৫) পোষ্যকে নিয়মিত দই-ভাত খাওয়াতে পারেন। দই খুব ভাল প্রোবায়োটিক যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে।