সন্তানধারণের জন্য পরিজনদের চাপ কী ভাবে এড়িয়ে চলবেন? ছবি: শাটারস্টক।
বিয়ের পর পর যে প্রশ্নটি অনেক বার শুনতে হয়, তা হল, বয়স তো হয়ে যাচ্ছে, সন্তান কবে হবে? পারিবারিক অনুষ্ঠান হোক কিংবা পাড়ার কোনও জমায়েত— একই প্রশ্ন ঘুরপাক খায় মুখে মুখে। বাইরে বেরোনোও যেন এক ত্রাস! কেবল মেয়েরাই নন, এমন নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হন ছেলেরাও।
একটা সময় ছিল, যখন বিয়ের এক-দু’বছরের মধ্যেই পরিবার বড় করতে চাইতেন বেশ কিছু দম্পতি। তবে এখন সময় বদলেছে। পেশা, পড়াশোনা, দাম্পত্যজীবন গুছিয়ে নিয়ে একটু দেরিতেই মা-বাবা হতে চান অধিকাংশ দম্পতি। এমন পরিস্থিতিতে পারিপার্শ্বিক চাপ থেকে দূরে থাকবেন কী করে, সে কথা ভেবেই নাজেহাল?
১) যখনই কেউ এ ধরনের প্রশ্ন করবেন, চেষ্টা করুন সেই প্রসঙ্গটি এড়িয়ে চলতে। অন্য কিছু নিয়ে কথা বলুন তাঁর সঙ্গে। তবে অভদ্রতা করে নয়, ভদ্র ভাবেই তাঁকে বুঝিয়ে দিন এটি আপনার ব্যক্তিগত বিষয়, এই নিয়ে কারও সঙ্গে কোনও রকম কথা বলতে আপনি স্বচ্ছন্দ নন।
২) আপনি যদি বাড়ির বড়দের সঙ্গে এই প্রসঙ্গে কোনও রকম আলোচনা করতে স্বচ্ছন্দ না হন, তা হলে সে বিষয়টি তাঁদের স্পষ্ট করে বলুন। এই সিদ্ধান্ত যে একান্তই আপনার ও আপনার সঙ্গীর হবে, সেটা তাঁদের বুঝিয়ে বলুন। আপনার হাবেভাবেও তাঁরা সেই কথা বুঝতে না পারলে সরাসরি কথা বলুন।
৩) যদি দেখেন শ্বশুরবাড়ির সদস্যেরা সন্তানধারণের জন্য চাপ তৈরি করছেন, তা হলে স্বামী-স্ত্রী মিলে তাঁদের সঙ্গে গোটা বিষয়টি আলোচনা করুন। সঙ্গীকেও নিজের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে বলুন।
৪) এক কানে শুনুন, অন্য কান দিয়ে বার করে দিন! এর থেকে ভাল কোনও পন্থা হয় না। মন শক্ত করুন। কোনও কথায় কান দেওয়ার প্রয়োজন নেই। নিজের মন শান্ত রাখতে পারলে দেখবেন, কোনও কিছুই আপনাকে আর অস্থির করবে না।