মাঝেমধ্যে বাড়িতে কেউ এসে দু’-চার দিন থাকলে বেশ ভালই লাগে। ছবি: শাটারস্টক।
এখন শহুরে বেশির ভাগ বাড়িতেই বাবা-মা আর খুদেকে নিয়ে ছোট্ট সংসার। এর মাঝে বাড়িতে কেউ এসে দু’-চার দিন থাকলে বেশ ভালই লাগে। শিশুদেরও মন ভাল থাকে, আর একঘেয়ে জীবনে খানিক বদলও আসে। তবে এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা আপনার বাড়িতে ঘুরতে আসেন বটে, তবে আপনার সংসারে কী হচ্ছে, কেন হচ্ছে, সব বিষয়েই তাঁদের নজরদারি চলতে থাকে। শুধু তা-ই নয়, সব বিষয়েই তাঁরা নানা রকম মন্তব্য করে বসেন। নিজের জীবনে কারও হস্তক্ষেপ বেড়ে গেলে তখন আর বিরক্তির শেষ থাকে না! কী কী করলে অতিথি আপনার জীবন দখলদারি করবেন না, রইল সেই সব উপায়ের হদিস।
১) অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, অতিথি আপনার বাড়ি এসে এমন কিছু কাজ করতে শুরু করেন, যা আপনার উদ্বেগের কারণ হয়ে দাড়ায়। ধরুন, তাঁরা আপনার পরিচারিকার সঙ্গে খারাপ আচরণ শুরু করলেন কিংবা স্বামী-স্ত্রীর কোনও ব্যক্তিগত কথোপকথনের মাঝে ঢুকে পড়লেন। তখন সমস্যা হয় বইকি। এ ক্ষেত্রে মুখ বুঝে সবটা মেনে নিলে সমস্যা বাড়তে পারে। এমনটা কখনও হলে চেষ্টা করুন তাঁদের সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলার। অভব্য আচরণ করার প্রয়োজন নেই। মাথা ঠান্ডা রেখে আলোচনা করলেই সমস্যার সমাধান হতে পারে।
২) কোন বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হলে সমস্যা বাড়তে পারে, সেই সম্পর্কে ধারণা থাকলে, সেই বিষয়গুলি নিয়ে কথাবার্তা এড়িয়ে চলুন। ধরুন, যিনি আপনার বাড়ি এসেছেন, তাঁর সঙ্গে আপনার রাজনৈতিক মতাদর্শ মেলে না। তা হলে সেই প্রকার আলোচনা না করাই ভাল। আপনার অপছন্দের কোনও বিষয়ে তিনি কথা বলতে শুরু করলে সেখান থেকে কাজের অজুহাত দেখিয়ে উঠে পড়াই ভাল।
পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগে নিজের মনকে শান্ত রাখুন। ছবি: শাটারস্টক।
৩) মনে রাখবেন, আপনার বাড়িতে যিনি এসেছেন, কোনও পরিস্থিতিতেই তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ শোভা পাবে না। তাই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগে নিজের মনকে শান্ত রাখুন। প্রয়োজনে বুদ্ধিমত্তা দেখিয়ে কথোপকথন ছেড়ে বেরিয়ে আসুন। সকলের জীবনেই সমস্যা আসে। তার থেকেও কিন্তু লোকের স্বভাব খিটখিটে হয়ে যায়। এমন কিছু দেখলে, বাড়িতে যিনি এসেছেন তাঁর সমস্যা নিয়েও খোলাখুলি কথা বলে দেখতে পারেন।