কী করলে জমে যাবে মধুচন্দ্রিমা? ছবি: শাটারস্টক
মধুচন্দ্রিমা মানেই এখন হয় মলদ্বীপ, আর নয় মরিশাস! ফেসবুক খুললেই দেখা যাচ্ছে, মধুচন্দ্রিমার জন্য ভারতীয়রা ভিড় জমাচ্ছেন এই দুই দেশে। তবে এ দেশেও মধুচন্দ্রিমা কাটানোর অনেক জায়গা আছে। স্বল্প বাজেটেও কিন্তু প্রিয়জনের সঙ্গে সুন্দর মুহূর্ত কাটানো যায়। মধুচন্দ্রিমা নিয়েও বর-কনের রোম্যান্টিকতার শেষ নেই। পাশাপাশি, জীবনসঙ্গীকে ঠিক ভাবে চিনে নেওয়ার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মধুচন্দ্রিমা। মধুচন্দ্রিমাকে কী ভাবে আরও মধুময় করবেন, তার জন্য রইল কয়েকটি টোটকা।
১) মনে রাখুন, অন্য যে কোনও ভ্রমণের থেকে আলাদা মধুচন্দ্রিমা। কাজেই পরিকল্পনা করুন সময় নিয়ে। বিয়ের সঙ্গে সঙ্গেই মধুচন্দ্রিমা করতে গিয়ে তাড়াহুড়ো করে ফেলেন অনেকেই। একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য অন্তত সপ্তাহখানেক সময় হাতে রাখুন। সঙ্গে সঙ্গে ছুটি না পেলে কিছু দিন পরেই না হয় পরিকল্পনা করুন।
২) কোথায় যাবেন, সেটা ঠিক করুন দু’জনে মিলেই। কারও পাহাড় ভাল লাগে, কারও সমুদ্র, কারও আবার জঙ্গল প্রিয়। তবে মধুচন্দ্রিমার ক্ষেত্রে স্থানের থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হলেন উল্টো দিকের মানুষটি। কাজেই গন্তব্য বাছার সময়ে খেয়াল রাখুন, কোথায় গেলে দু’জনে একসঙ্গে বেশি দিন সময় কাটাতে পারবেন। প্রয়োজনে একই জায়গায় একাধিক দিন থাকুন, জনবহুল স্থান এড়িয়ে চলুন। ভ্রমণে তাড়াহুড়োর বদলে থাকুক গড়িমসি।
প্রতিটি সম্পর্ক স্বতন্ত্র। নিজেদের সম্পর্কের ভাষা বুঝতে হবে নিজেদেরই। ছবি:সংগৃহীত
৩) ব্যাগ গোছানোর সময়ে সাহায্য করুন একে অন্যকে। সঙ্গীর পছন্দের পোশাক থেকে, প্রয়োজনীয় প্রসাধনী, গুছিয়ে দিন যত্ন করে। লুকিয়ে নিয়ে নিতে পারেন কোনও উপহার, যা চমকে দিতে পারে আপনার সঙ্গীকে। সঙ্গে রাখতে পারেন কিছু খেলনাও। অনলাইনে খোঁজ করলেই প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য বিভিন্ন ধরনের খেলার সরঞ্জাম পাওয়া যায়। সে রকম কিছু খেলনা অর্ডার করুন। মধুচন্দ্রিমাকে মধুময় বানাতে কাজে আসবে এই সব সরঞ্জাম।
৪) সময় নিন, সময় দিন। অনেক ক্ষেত্রেই নতুন মানুষের কাছে নিজেকে মেলে ধরতে আড়ষ্ট বোধ করেন কেউ কেউ। যদি সম্পর্ক পুরনোও হয়, সে ক্ষেত্রেও বিবাহবন্ধন কিন্তু একটি নতুন ঘটনা। কাজেই পরস্পরকে সময় দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। যৌনতার হাতছানি যেন সম্পর্ককে শীতল না করে দেয়, সে দিকে খেয়াল রাখুন।
৫) প্রতিটি সম্পর্ক স্বতন্ত্র। নিজেদের সম্পর্কের ভাষা বুঝতে হবে নিজেদেরই। মনে রাখুন, বিয়ে মানেই সম্মতি নয়। মধুচন্দ্রিমা আদতে আগামী জীবন একসঙ্গে কাটানোর প্রতিশ্রুতিতে প্রথম পদক্ষেপ। কল্পনার সঙ্গে বাস্তবের মধুচন্দ্রিমা না-ই মিলতে পারে। কিন্তু তাতে যেন কোনও তিক্ততা তৈরি না হয়, খেয়াল রাখুন সে দিকে।