পোষ্যের গায়ে লুকিয়ে পরজীবীদের খুঁজে পাবেন কী করে? ছবি- সংগৃহীত
কুকুর, বিড়াল বা অন্য প্রাণীদের গায়ে ছোট ছোট কালচে লাল রঙের এক ধরনের পোকা হয়। যাদের বাড়িতে পোষ্য রয়েছে তাদের গায়েও এমন পরজীবীর সন্ধান মেলে হামেশাই। প্রাণীদের গায়ে, লোমের মধ্যে বাসা বেঁধে, তাদের শরীর থেকে রক্ত শোষণ করে বেঁচে থাকে এবং বংশবিস্তার করে এই পরজীবীরা। চামড়ার সঙ্গে একেবারে মিশে থাকে। এই কীটগুলি অনেকের কাছেই ‘এঁটুলি’ নামে পরিচিত। সাধারণত বাড়ির বাইরে আশপাশে থাকা অন্যান্য প্রাণীর দেহ থেকে এই পরজীবীগুলি পোষ্যের শরীরে এসে বাসা বাঁধে। কিন্তু সমস্যা হয় এই পরজীবীগুলিকে খুঁজে বার করার সময়। কারণ, পোষ্যের ঘন লোমের মধ্যে এই পরজীবীগুলি এমন ভাবে লুকিয়ে থাকে যে তাদের চোখে দেখতে পেলেও হাতের নাগালে পাওয়া মুশকিল হয়। কিন্তু পশু চিকিৎসকদের মতে, এই পরজীবীগুলি সাধারণত পোষ্যের দেহের নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় আটকে থাকতেই ভালবাসে। স্নান করানোর সময় বা লোম আঁচড়ানোর সময় ওই নির্দিষ্ট জায়গাগুলিতে নজর দিলেই এই সমস্যা থেকে অনেকটা রেহাই মিলতে পারে।
পোষ্যের গায়ে কোন কোন জায়গায় পরজীবী লুকিয়ে থাকতে পারে জানেন?
১) কানে
পরজীবীরা সাধারণত দেহের অন্যান্য অংশের তুলনায় উষ্ণ এবং আর্দ্র অংশে বাস করতেই পছন্দ করে। তাই পোষ্যের কানের আশপাশের অঞ্চলে এবং কানের লতির মধ্যেও খুঁটিয়ে লক্ষ করুন।
২) মুখে
চোখ, ঠোঁট এবং গালের আশেপাশে থাকতেও পছন্দ করে পরজীবীরা। অন্য প্রাণীর দেহ থেকে এই পরজীবীরা মাটিতে, ঘাসে ছড়িয়ে থাকে অনেক সময়। সেখান থেকে মুখে উঠে আসতে খুব একটা কষ্ট করতে হয় না পরজীবীদের।
৩) ঘাড়ে
ঘাড়ের ঘন লোমের মধ্যে লুকিয়ে থাকতে ভালবাসে পরজীবীরা। আরও সুবিধা হয় পোষ্যের গলায় যদি বেল্ট পরানোর কলার থাকে। উপর থেকে খালি চোখে তাদের দেখা পাওয়া দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে।
৪) বুকে-পেটে
মাটিতে বসার সময় পোষ্যরা সাধারণত বুকে, পেটে ভর দিয়েই বসে। তাই মাটি থেকে ঠিক পোষ্যের দেহের ওই অংশে উঠে, লুকিয়ে পড়তে সময় লাগে না। পেটের দিকে লোমের ভাগ কম হওয়ায় রক্ত শুষতেও পরজীবীদের সুবিধা হয়। তাই এই অঞ্চলগুলিতেও নজর দিতে হবে।
৫) লেজে
গায়ে লোম থাকলেও সেখান থেকে পরজীবীদের যদি বা খুঁজে পাওয়া যায়, লেজের ঘন লোম থেকে খুঁজে পাওয়া দুঃসাধ্য। তাই লেজের লোম খুব বড় হয়ে গেলে তা ছেঁটে দিন।