পোষ্যরা প্রভুর আদেশ মেনে চলতেই অভ্যস্ত। তাই আদেশ করার ভঙ্গিতে পোষ্যের সঙ্গে কথা বলুন। ছবি- সংগৃহীত
উঠতে বললে উঠবে, বসতে বললে বসবে। আবার প্রয়োজন হলে এ ঘর থেকে কোনও জিনিস মুখে করে নিয়ে অন্য ঘরে রেখেও দিয়ে আসবে। মল-মূত্র ত্যাগ করতে হলে খুঁজে খুঁজে সে ঠিক শৌচাগারেই যাবে। পোষ্যের এমন সব কার্যকলাপের দৃশ্য সমাজমাধ্যমে দেখা যায় প্রায়শই। এমন দৃশ্য দেখতে ভাল লাগলেও পোষ্যকে এমন স্বভাবের তৈরি করে তুলতে গেলে প্রয়োজন সঠিক প্রশিক্ষণের। এখন এমন অনেক সংস্থা আছে যেখানে প্রশিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে পোষ্যদের এমন সভ্য করে তোলার পাঠ দেওয়া হয়। যদিও তা বেশ খরচসাপেক্ষ। তা ছাড়াও প্রশিক্ষকদের কাছে সহবত শেখার পাঠ নিলেও তা অভ্যাস কিন্তু করাতে হবে পোষ্যের অভিভাবককেই।
প্রশিক্ষকের সাহায্য ছাড়াই পোষ্যকে সহবত শেখাতে কী কী বিষয় মাথায় রাখবেন?
১) পোষ্যকে নিয়মে বেঁধে ফেলুন
ছোট থেকেই পোষ্যকে একটা নিয়মে বেঁধে ফেলুন। কখন খাবে, কোথায় যাবে, কোথায় মল, মূত্র ত্যাগ করবে, কতদূর পর্যন্ত তার সীমা— এই সব কিছু শেখাতে হবে অভিভাবকদের।
২) নিয়মিত অভ্যাস করান
এ অনেকটা বাচ্চার স্কুল থেকে দেওয়া ‘হোমওয়ার্ক’ বাড়িতে অভ্যাস করানোর মতো। প্রশিক্ষকের কাছে গিয়ে, পোষ্য যা যা শিখে এল, তা বাড়িতে অভ্যাস করাতে হবে। না হলে কিন্তু তার অভ্যাস তৈরি হবে না। প্রয়োজনে ছোটখাট শাস্তিও দিন।
পোষ্যকে ছোট থেকে নিয়মে বেঁধে ফেলুন। ছবি- সংগৃহীত
৩) আদেশ করার ভঙ্গিতে কথা বলুন
পোষ্যরা প্রভুর আদেশ মেনে চলতেই অভ্যস্ত। তাই তাদের সঙ্গে সেই ভঙ্গিতেই কথা বলুন। কিছু দিন একই স্বরে, একই ভঙ্গিতে কথা বললে তারা ওই নির্দিষ্ট কিছু কথার সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে।
৪) প্রশিক্ষণের নামে ভয় দেখাবেন না
অবলা প্রাণীরা কথা বলে কিছু বোঝাতে পারে না বলে, তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করবেন না। প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময় কথা না শুনলে পোষ্যের গায়ে হাত তুলবেন না। খেয়াল রাখবেন প্রশিক্ষকের সঙ্গে তার সম্পর্ক কেমন। তাকে দেখলে পোষ্য ভয়ে কুঁকড়ে যাচ্ছে কি না। যদি এমনটা হয়, সে ক্ষেত্রে প্রশিক্ষকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলতে হবে।
৫) পোষ্যকে সামাজিক করে তুলুন
বাড়িতে পোষ্যের অচেনা কেউ এলে অনেক সময়ই তাকে অন্য কোনও জায়গায় আটকে রাখা হয়। এমন অভ্যাস কিন্তু পোষ্যের জন্য মোটেও ভাল নয়। পোষ্যকে সামাজিক করে তোলাও কিন্তু প্রশিক্ষণের একটা অংশ। তাই বাড়ির বাইরে অন্যান্য পোষ্য বা মানুষের সঙ্গে তার সম্পর্ক সহজ করে তোলার চেষ্টা করুন।