পোষ্য কি চিকিৎসককে দেখলে ভয় পায়? ছবি- সংগৃহীত
সন্তান জন্মের পর থেকে টানা বেশ কিছু মাস যেমন বাঁধাধরা কিছু টিকা নিতে হয়, তেমন সদ্য জন্ম নেওয়া পোষ্যের ক্ষেত্রেও সেই একই নিয়ম প্রযোজ্য। তবে শিশুরা যেমন কেঁদে মনের কথা প্রকাশ করতে পারে, চারপেয়ে শিশুরা তেমনটা পারে না। তাই তাদের অভিভাবকদের অত্যন্ত সচেতন থাকতে হয়। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া মানে সে আরও এক ঝক্কি। সেখানে যাওয়ার আগে এবং যাওয়ার পর যাতে কোনও বিরূপ অভিজ্ঞতা না হয়, তাই কিছু বিষয়ে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার আগে কোন কোন বিষয় মাথায় রাখবেন?
১) বাড়ি থেকে বেরিয়েই সোজা ডাক্তারের কাছে নয়
পোষ্যকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার দিন হাতে অনেকটা সময় রাখুন। পোষ্য যদি বুঝতে পারে গাড়িতে ওঠা মানেই ইঞ্জেকশন নিতে যাওয়া, তখন কিন্তু বেঁকে বসতে পারে। তাই বাড়ি থেকে বেরিয়ে একটু পার্কে বা রাস্তার ধারে ঘুরে, তার পর চিকিৎসা কেন্দ্রে যান।
২) সঠিক চিকিৎসকের সন্ধান করুন
পোষ্যদের অর্ধেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায় ভাল চিকিৎসকের সন্ধান পেলে। পোষ্যকে নিয়ে যাওয়া মাত্রই তার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহার করে খাতির জমাতে না পারলে, তার মনে কিন্তু ভয়ের উদ্রেক হবে। প্রথম দিন গেলেও দ্বিতীয় দিন আর সে দিকে পা বাড়াবে না। ছোট্ট শিশুকে যেমন ভুলিয়ে ওষুধ খাওয়াতে হয়, তেমন পোষ্যদেরও সঙ্গেও একই রকম ব্যবহার করতে হয়।
৩) সুন্দর একটি ম্যাট সঙ্গে রাখুন
পোষ্যটি ব্যবহার করা কোনও ম্যাট বা চাদর সঙ্গে রাখুন। যাতে জায়গাটি নতুন হলেও সে যেন নিজের পরিচিত জিনিসের গন্ধ পায়। এ ছাড়াও চিকিৎসা কেন্দ্রের মেঝেতে পোষ্যের পা যেন হড়কে না যায়, সেই জন্যও বড় একটি চাদর সঙ্গে রাখা জরুরি।
৪) জোর করে কিছু করানোর চেষ্টা করবেন না
এত কিছুর পরেও যদি পোষ্যটি ভয় পায় বা চিকিৎসা কেন্দ্রে ঢোকার মুখেই ঝামেলা করতে শুরু করে, তা হলে গলার বেল্ট ধরে টানা-টানি না করে শান্ত ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করুন। পোষ্যটি যদি মাটিতে শুয়ে কান্নাকাটি করতে শুরু করে সে ক্ষেত্রে গায়ে তো হাত তুলবেনই না। অন্য আর এক দিন নিয়ে যেতে হলে, তা-ই যাবেন।
৫) পোষ্যের পছন্দের কিছু খাবার, জল এবং খেলনা সঙ্গে রাখুন
পোষ্যরা তো সন্তানের থেকে কোনও অংশে কম নয়। তাই তাদের ভুলিয়ে রাখতে কিছু খেলনা সঙ্গে রাখুন। বিস্কুট বা চিকেনের বিভিন্ন মুখরোচক কিছু ছোট ছোট খাবারও সঙ্গে রাখতে পারেন। এইগুলি দিয়ে পোষ্যকে ভুলিয়ে রাখাও সহজ হবে। আবার খিদেও মিটবে।