ভবিষ্যতে যাই হোক, দু’জনে একই সঙ্গে তা সামলাবেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এলভিস ও রায়ান। —ফাইল চিত্র
আমেরিকার পেনসিলভেনিয়ার দম্পতির এলভিস ও রায়ান স্মিথের আলাপ প্রায় এক দশক আগে। এলভিস রূপান্তরকামী। কিন্তু কোনও দিনই মুখ ফুটে বলতে পারেননি সেই কথা। ৭ বছরের আলাপচারিতার পরে বুঝতে পারেন নিজের লিঙ্গপরিচয় চেপে রাখা আর সম্ভব হচ্ছে না। ক্রমেই ছেলেদের মতো পোশাক পরতে শুরু করেন তিনি। চুলও কেটে নেন ছোট করে। কিন্তু তবুও ভালবাসার মানুষটিকে বলে উঠতে পারছিলেন না নিজের লিঙ্গপরিচয়ের কথা। ভেবেছিলেন সত্যিটা জানতে পারলেই ছেড়ে চলে যাবেন রায়ান।
কিন্তু সত্যি তো বেশি দিন চাপা থাকে না। শেষ পর্যন্ত প্রেমিককে সব খুলে বলার সিদ্ধান্ত নেন এলভিস। সব শুনে রায়ান যা করেন তাতেই চমকে ওঠেন এলভিস। ভেবেছিলেন বিষয়টি জানা মাত্র সম্পর্ক ভেঙে দেবেন রায়ান, প্রেমিককে তিনি বলেন, যদি থাকতে না চান তাঁর সঙ্গে তবে তিনি স্বচ্ছন্দে চলে যেতে পারেন। অথচ হয় ঠিক তাঁর উল্টো। এলভিস জানিয়েছেন, বিষয়টি জানা মাত্র তাঁকে আগলে রাখা শুরু করেন রায়ান। সম্পর্ক ভাঙা তো দূর, উল্টে কয়েক সপ্তাহ পরই তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেন তিনি।
পোশাক বেছে নেওয়া থেকে নিত্য নতুন কায়দায় চুল কাটা, সব কিছুতেই রায়ান তাঁকে সহায়তা করেন বলে জানিয়েছেন এলভিস। এমনকি তাঁর বর্তমান নামও বেছে দিয়েছেন রায়ানই। এলভিস জানিয়েছেন, তিনি ভবিষ্যতে বদল আনতে চান শরীরে। সেই কথা শুনেও তাঁর পাশেই দাঁড়িয়েছেন রায়ান। দু’জনেই ভবিষ্যতে সন্তান নিতে চান তাঁরা কিন্তু ঠিক কী ভাবে তা সম্ভব হবে তা নিয়ে নিশ্চিত নন তাঁরা। তবে ভবিষ্যতে যাই হোক, দু’জনে একই সঙ্গে তা সামলাবেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এলভিস ও রায়ান।