আদিত্য রায় কপূর। ছবি: সংগৃহীত।
বলিপাড়ার ‘মোস্ট এলিজিবেল ব্যাচেলর’-এর তালিকায় জ্বলজ্বল করে আদিত্য রায় কপূরের নাম। অনন্যা পাণ্ডের সঙ্গে নায়কের প্রেমের কানাঘুষো শোনা গেলেও, প্রকাশ্যে নিজেদের প্রেমের কথা স্বীকার করেননি দু’জনের কেউ-ই। আর এই জল্পনার মাঝেই ‘লাভ গুরুর’ ভূমিকায় দেখা গেল আদিত্যকে। অনলাইন ডেটিং অ্যাপ ‘বাম্বল’-এর বিজ্ঞাপনী প্রচারের অন্যতম মুখ অভিনেতা। ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে মুখে কুলুপ আঁটলে, প্রেমের মূল ‘মন্ত্র’ কোনগুলি, তা নিয়ে অকপট অভিনেতা।
আদিত্য মনে করেন, সততা এবং মনের সংযোগ, এই দুটিই মজবুত সম্পর্কের রহস্য। সম্পর্কের প্রতি সৎ থাকলে এবং মানসিক ভাবে একে অপরের কাছাকাছি থাকলেই একটা সুন্দর সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে। ভিডিয়ো কল, মেসেজ, সমাজমাধ্যমের যুগে ভৌগোলিক দূরত্বে থেকেও সারা ক্ষণ একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, কথা চালিয়ে যাওয়া সহজ হয়ে গিয়েছে। ঝগড়া হলেও তা মেটাতে সব সময় দেখা করার প্রয়োজন পড়ছে না। ভিডিয়ো কল করে কিংবা অনলাইনে সঙ্গীকে তাঁর পছন্দের উপহার পাঠিয়ে রাগ-অভিমান ভাঙানোর ‘ট্রেন্ড’-ই বেশি। এই বিষয়টি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন আদিত্য। তাঁর কথায়, ‘‘সব সময় পরস্পর যোগাযোগে থাকা মানেই কি মন থেকে দু’জন সত্যিই কাছাকাছি আছেন? প্রযুক্তির আর্শীবাদে ইচ্ছে করলেই যখন খুশি সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলতে পারি। এক বার দেখে নিতে পারি। কিন্তু দূরে থেকেও কাছাকাছি থাকার এই চেষ্টা কিন্তু মনের সম্পর্ক কতটা গভীর, তার উদাহরণ কিংবা প্রমাণ কোনওটাই নয়।’’ আদিত্য মনে করেন, দুটো মানুষের মনের সংযোগ মজবুত হওয়া জরুরি। মানসিক ভাবে পরস্পরের কাছাকাছি থাকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আর বাকি থাকল সততা। প্রেম বলে নয়, সততা হল সব সম্পর্কের কাঠামো। শিকড়ের সঙ্গে মাটির যেমন সম্পর্ক, সম্পর্কের সঙ্গে সততাই সমীকরণ ঠিক একই রকম। নতুন সম্পর্কে যাওয়ার আগে এই দু’টি জিনিস মাথায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন অভিনেতা।