আমান্ডা খুঁজে পেয়েছেন তাঁর ‘সঙ্গী’কে। ছবি- সংগৃহীত
স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর এক জন সঙ্গীর প্রয়োজন ছিল। কিন্তু মনের মতো কাউকেই পাচ্ছিলেন না। বিস্তুর অপেক্ষার পর অবশেষে ৪৫ বছর বয়সি আমান্ডা টিগ ‘অশরীরী’র গলায় মালা দিলেন। রূপকথার গল্পে ভূত-প্রেত, রাক্ষস-খোক্ষসের সঙ্গে বিয়ের ঘটনা আকছার ঘটত। তবে বাস্তবে বোধহয় এই প্রথম।
আয়ারল্যান্ড নিবাসী আমান্ডা পাঁচ সন্তানের মা। বিবাহিত জীবনে ইতি টানার পর থেকেই একা হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সন্তানেরা সব সময় পাশে থাকলেও কখনও কখনও তিনি যেন একা হয়ে পড়ছিলেন। একাকিত্ব কাটানোর চেষ্টা যে করেননি, তা নয়। কিন্তু কারও সঙ্গে মতের মিল হয়নি। তবে জীবন তাঁকে ফেরায়নি। আমান্ডা খুঁজে পেয়েছেন তাঁর ‘সঙ্গী’কে। ভালবেসে ডাকেন জ্যাক নামে।
জ্যাক একজন জলদস্যু ছিলেন। অপরাধের শাস্তি হিসাবে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। আমান্ডা মনে করেন, শরীর থেকে প্রাণটা বেরিয়ে গেলেও এ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করতে পারেননি। তাই পরলোকের হাতছানি উপেক্ষা করে রয়ে গিয়েছেন এখানেই। আমান্ডা জানান, এর আগে বহু পুরুষের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক হয়েছে। কিন্তু জ্যাকের মতো ভালবাসা তাঁকে কেউ দিতে পারেনি। দু’জনের সম্পর্ক একেবারে যে কোনও সাধারণ জুটির মতোই। একসঙ্গে আলাদা সময় কাটানো থেকে শুরু করে খুনসুঁটি— সবই চলে তাঁদের মধ্যে। এমনকি বিয়ের উদ্যাপনও খুব ধুমধাম করেই হয়েছে। আমান্ডা ছাড়া জ্যাক আর কাউকে দেখা দেন না। বিয়ের দিন কালো পতাকায় আঁকা জ্যাকের ছবি বুকে জড়িয়ে বিবাহবাসরে প্রবেশ করেন। জীবনের এই বিশেষ দিনে নিজেও লম্বা সাদা গাউনে সেজে উঠেছিলেন।