আপনার সামাজিক আচরণ এবং মানসিক ক্রিয়ার উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে আপনার পোষ্য। ছবি : সংগৃহীত
বাড়ির কলিং বেল বাজার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আগে দরজায় গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে আপনার পোষ্যটি। সারা দিনের কাজের পর বাড়ি ফিরতে দেরি হলে, আর কেউ জেগে থাকুক বা না থাকুক, সে কিন্তু অপেক্ষা করে। বাড়ি ফিরলেই আপনাকে আদর করে ভরিয়ে দেয় আপনার পোষ্যটি।
পোষ্যের এই স্বভাব আপনার মস্তিষ্কে যে কোনও প্রভাব ফেলতে পারে, সে সম্পর্কে আপনার আদৌ ধারণা আছে কি?
সুইৎজ়ারল্যান্ডের একদল গবেষক, ন’জন মহিলাকে জীবন্ত কুকুরের সঙ্গে এবং দশ জন পুরুষকে খেলনা কুকুরের সঙ্গে আলাদা আলাদা ঘরে কিছু দিন রেখে বিভিন্ন ভাবে পরীক্ষা করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, বাড়িতে পোষ্য হিসাবে থাকা কুকুরের উপস্থিতিতে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের মস্তিষ্কের প্রি-ফ্রন্টাল কর্টেক্সের কার্যক্ষমতা, পুতুল কুকুরের সঙ্গে থাকা পুরুষদের তুলনায় অনেকটাই বেশি। যা তাঁদের সামাজিক আচরণ এবং মানসিক ক্রিয়ার উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।
স্নায়ুরোগ, স্মৃতিভ্রম, পক্ষাঘাত, ট্রমার মতো রোগে আক্রান্ত মানুষদের চিকিৎসায় বিশেষ ভাবে সহায়ক পোষ্য। ছবি : সংগৃহীত
প্রতি দিন জীবন্ত কুকুরের সঙ্গ, তাদের সঙ্গে চলা কথোপকথন, তাদের আদর-আবদার আপনার সারা দিনের মানসিক চাপ কমিয়ে দিতে পারে। মানুষ এবং কুকুরের এই কথোপকথন স্নায়বিক এবং মানসিক কার্যকলাপের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
সাম্প্রতিক গবেষণায় এ-ও বলা হয়েছে যে, 'পোষ্য-সহায়ক চিকিৎসা' স্নায়ুরোগ, স্মৃতিভ্রম, পক্ষাঘাত, ট্রমার মতো রোগে আক্রান্ত মানুষদের চিকিৎসায় বিশেষ ভাবে সহায়ক।