নিজের স্বাভাবিক ছবি দিয়ে প্রোফাইল অনেক কম সংখ্যক পুরুষই তৈরি করেন। ছবি: সংগৃহীত।
সঙ্গী খোঁজার জন্য অনেকেই ভরসা রাখেন ডেটিং অ্যাপগুলিতে। অনলাইনেই মনের মানুষের খোঁজ পান অনেকেই। তবে সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, পুরুষরা ডেটিং সাইটে প্রোফাইল তৈরির সময়ে নিজেদের সম্পর্কে ভুল তথ্য দেন। পুরুষরা তাঁদের উচ্চতা সম্পর্কে ভুল তথ্য দেন। উভয় পক্ষই নিজেদের সঠিক বয়সও জানান না। তাই প্রকৃত বয়সের তুলনায় কিছু বছর কমিয়ে লেখার প্রবণতা পুরুষদের বেশি বলে উঠে এসেছে সমীক্ষায়।
ডেটিং সাইটে প্রোফাইল তৈরির সময়ে নিজের একটি ছবি দিতে হয়। সমীক্ষা বলছে, তার মধ্যে অধিকাংশ ছবিতেই বিভিন্ন পদ্ধতিতে নানা রকম কারিকুরি করে থাকেন পুরুষরা। নিজের স্বাভাবিক ছবি দিয়ে প্রোফাইল অনেক কম সংখ্যক পুরুষই তৈরি করেন।
আমেরিকার সংস্থার করা একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, ৩৫ শতাংশ পুরুষ তাঁদের বয়স সম্পর্কে ভুল তথ্য দেন। ২৮ শতাংশ পুরুষ নিজেদের পেশা সম্পর্কে সঠিক কথা জানান না। অনেকেই হয়তো এখনও প্রতিষ্ঠিত নন। তবু ডেটিং অ্যাপে নিজের পেশা সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য প্রদান করেন, যা আদৌ সত্যি নয়।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সত্যিটা প্রকাশ্যে আসার পর তার প্রভাব পড়ে মহিলাদের মনের উপর। ২০২১ সালে ‘নিপিসিং ইউনিভার্সিটি’-র একদল গবেষক ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সি মহিলাদের ৩৮৮ জনকে নিয়ে একটি সমীক্ষা করে। সমীক্ষার বিষয় ছিল, ডেটিং সাইটে আলাপ হওয়া মানুষকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করার পর যদি ভুল ভেঙে যায়, সে ক্ষেত্রে কী প্রতিক্রিয়া হবে? অধিকাংশ মহিলা জানিয়েছেন, তাঁদের মনে এই পরিস্থিতি তেমন কোনও প্রভাব ফেলবে না। তবে সঙ্গীর পেশা নিয়ে প্রতারণার শিকার হলে খারাপ লাগবে।
২০১৫ সালের একটি গবেষণা বলছে, নারী এবং পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে আকর্ষণীয়তার সংজ্ঞা ভিন্ন। পুরুষদের কাছে মহিলাদের বাহ্যিক রূপ বেশি প্রাধান্য পায়। মহিলাদের ক্ষেত্রে কিন্তু বিষয়টি আলাদা। মহিলারা বাহ্যিক রূপের চেয়েও মেধাসম্পন্ন পুরুষ বেশি পছন্দ করেন। বুদ্ধিমত্তা, উদারতা, হাস্যরসসম্পন্ন পুরুষই মহিলাদের প্রথম পছন্দ বলে জানাচ্ছে গবেষণা। এই গুণগুলি দেখে সম্পর্ক গড়ে তোলার পর কেউ যদি দেখেন, আসলে সবটাই মিথ্যা এবং সাজানো, সেই ধাক্কা সামলে ওঠার পর্বেও মানসিক অবসাদে ভোগেন অনেকেই।