প্রতীকী ছবি।
স্বামী মারা যাওয়ার পরে দ্বিতীয় বার বিয়ে করেছেন এক মহিলা। প্রথম স্বামীর সঙ্গে তাঁর এক ছেলেও রয়েছে। দ্বিতীয় বার বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ির দাবি, আগের পক্ষের ছেলের পদবি বদলে ফেলতে হবে। বর্তমান স্বামীর যা পদবি, তাই দিতে হবে ছেলেকে।
মহিলা নিজে চান না, বদলে যাক তাঁর আগের পক্ষের ছেলের পদবি। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির এই দাবি কত দূর যুক্তিসঙ্গত? এই প্রশ্ন নিয়ে নেটমাধ্যমের দ্বারস্থ হয়েছেন ইংল্যান্ডের এই মহিলা। নিজের নাম প্রকাশ না করে তিনি লিখেছেন, তাঁর শাশুড়ি আর ননদ তাঁকে সারা ক্ষণ চাপ দিতে থাকেন ছেলের পদবি বদলাতে। তাঁর স্বামীও এই নিয়ে সংশয়ে। কখনও তিনি বলেন, তাঁর মা যা বলছেন, তা যুক্তিসঙ্গত। কখনও আবার মাকে ভর্ৎসনা করতে শুরু করেন। সব মিলিয়ে জেরবার মহিলার জীবন।
তবে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর বর্তমান স্বামী আগের পক্ষের এই ছেলেকে খুবই ভালবাসেন। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির বাকিরা সেই ছেলেকে নিজেদের পরিবারের অংশ বলে ভাবতে চান না। তার কারণ একটাই— পদবি আলাদা।
প্রতীকী ছবি।
নেটমাধ্যমে মহিলার এই প্রশ্নের উত্তরে প্রায় সকলেই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। এ ধরনের সমস্যায় অনেকেই পড়েন, কিন্তু তা প্রকাশ্যে আসেন না— এমন কথাই বলেছেন অনেকে। পাশাপাশি কেউ কেউ বলেছেন, তাঁর বর্তমান স্বামী যে আগের পক্ষের ছেলেকে খুবই স্নেহ করেন, তা প্রশংসনীয়। কারও প্রশ্ন, এর পরে যদি ওই পরিবারের কোনও মেয়ে বিয়ের পরে নিজের পদবি বদলে ফেলেন, তা হলে কি তাঁকে আর ওই পরিবারের সদস্য বলে ভাবা হবে না?