জর্জিয়ার তরফের উকিল আদালতে দাবি করেন, আর্থিক মুনাফা পাওয়ার জন্যই এমন কাজ করেছেন স্টিফেন। ছবি: সংগৃহীত।
প্রাক্তন প্রেমিকার সঙ্গে কাটানো ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে শেয়ার করে বিপাকে আমেরিকার রিয়্যালিটি শো-এর তারকা! প্রেমিকার সম্মতি ছাড়া নিজেদের সঙ্গমের ভিডিয়ো পর্ন ওয়েবসাইটে ছেড়ে দেন আমেরিকার টেলিভিশনের অভিনেতা স্টিফেন বিয়ার।
আমেরিকার জনপ্রিয় টেলিভিশন শো ‘সেলিব্রিটি বিগ ব্রাদার’-এর ২০১৬ সালের বিজয়ী স্টিফেন খান এখন কারাগারে বন্দি। স্টিফেনের প্রাক্তন প্রেমিকা জর্জিয়া হ্যারিসন আদালতকে বলেন, ‘‘আমি জানতাম না স্টিফেন আমাদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত রেকর্ড করছে। পরে যখন জানতে পারলাম, আমি ওকে বার বার মানা করেছি ভিডিয়ো অন্য কারও সঙ্গে শেয়ার করতে। কিন্তু ও শোনেনি। প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপ, তার পর পর্ন ওয়েবসাইটে ভিডিয়োগুলি ছেড়ে দেয় স্টিফেন।’’
জর্জিয়ার তরফের উকিল আদালতে দাবি করেন, আর্থিক মুনাফা পাওয়ার জন্যই এমন কাজ করেছেন স্টিফেন। তবে এই সব অভিযোগ মানতে নারাজ তিনি। স্টিফেন আদলতে বলেন, ‘‘আমাদের গোপন মুহূর্ত কী ভাবে সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ল, এ বিষয়ে সত্যিই আমি কিছু জানি না। আমি নিজেও বিষয়টি নিয়ে হতবাক!’’
আমেরিকার জনপ্রিয় টেলিভিশন শো ‘সেলিব্রিটি বিগ ব্রাদার’-এর ২০১৬ সালের বিজয়ী স্টিফেন খান এখন কারাগারে বন্দি। ছবি: সংগৃহীত।
দু’পক্ষের দেওয়া সাক্ষ্যপ্রমাণ দেখেশুনে আমেরিকার আদালত স্টিফেনকে দোষী সাব্যস্ত করে। স্টিফেনকে দিয়ে একটি চুক্তিপত্রে সই করানো হয়। ওই চুক্তিপত্র অনুযায়ী, আগামী ৫ বছর জর্জিয়ার সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ করতে পারবেন না স্টিফেন।
আদালত থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন জর্জিয়া। তিনি বলেন, ‘‘আমি খুশি যে, ও সাজা পেয়েছে। আমার সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর ও ভিডিয়োগুলি শেয়ার করে, এটি প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছুই নয়।’’